অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ব্লক হাসপাতালে দীর্ঘদিন এই সমস্যা না মেটায় ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ সত্যপ্রকাশ পাত্র বলেন, পিএইচইর ট্যাঙ্ক থেকে জল না বেরনোর বিষয়ে নজর দেওয়া হয়নি। জানি না কবে থেকে এমনটা হয়েছে। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মেরামত করার জন্য বলব।
কালনার এসিএমওএইচ চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতালে সাধারণ মানুষের জন্যে পরিশুদ্ধ পানীয় জল মিলছে না বলে শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় পিএইচইর কাজের তদারকি করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। সেখানকার কর্মীরাই পাইপ লাইনের সংযোগ বা ট্যাপ মেরামতি করে দেন। মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতাল থেকে মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দূরত্ব মাত্র ৪০০ মিটার। পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিদেরও হাসপাতালের পানীয় জলের সঙ্কটের বিষয়টি নজরে পড়েনি বলে অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল শেখ বলেন, হাসপাতালে পিএইচইর পানীয় জল মিলছে না বলে শুনিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও আমাদের কাছে কখনও অভিযোগ করেনি। তারপর খোঁজখবর নিয়ে তিনি বলেন, পাইপ লাইনের সংযোগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ফলে হাসপাতালের জলাধারে পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না। আমরা কর্মীদের নিয়ে দ্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেব।
মন্তেশ্বর-কুসুমগ্রাম রোডের পাশেই কাদম্বিনী ব্লক হাসপাতাল। ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২০০ জনের বেশি রোগী আসেন। জরুরি বিভাগ ও ইন্ডোরে প্রায় ৫০জন রোগী থাকেন। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অভিযোগ, ওই হাসপাতাল চত্বরে কোনও পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বহুকাল ধরে হাসপাতালে একটি টিউবওয়েল বিকল হয়ে আছে। অন্যটির জল পান করা যায় না। ওই জলে প্রচুর আয়রন রয়েছে। পিএইচইর একমাত্র সংযোগ থেকেও জল নির্গত হয় না। ফলে, তৃষ্ণা মেটাতে তাঁদের অন্যত্র ছুটতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, হাসপাতালের ভিতর পানীয় জল অমিল। তাই রোগীর আত্মীয়দের তৃষ্ণা মেটাতে অন্যত্র ছুটতে হয়। খুব খারাপ লাগে।