শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাত্র ১০টি পদের জন্য আবেদন করেছেন ১৮হাজার প্রার্থী। গত ৫অক্টোবর থেকে তমলুক শহরে নিমতৌড়িতে দপ্তরের নবনির্মিত অফিসে দু’টি বোর্ডে ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার হাজার প্রার্থীর ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। আরও ১৪হাজার আবেদনকারী বাকি। আগামী ১৯অক্টোবর সোমবার থেকে প্রতিদিন ২১০০প্রার্থীকে ডেকে পাঠানো হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত একটানা ইন্টারভিউ চলবে। মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য এক ঘণ্টার বিরতি থাকছে। তারপর বেলা ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত টানা ইন্টারভিউ চলবে।
পুরুলিয়া জেলায় আবেদনকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রতিদিন পাঁচ হাজার প্রার্থীকে ডেকে পাঠানো হবে। ওই জেলায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইন্টারভিউ চলবে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, একজন প্রার্থীর জন্য ৩০ সেকেন্ড সময় বরাদ্দ থাকবে। অষ্টম শ্রেণী পাশ যোগ্যতায় বন সহায়ক পদে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। চুক্তিভিত্তিতে এক বছরের জন্য মাসিক ১০হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ করা হবে। ফরেস্ট গার্ডদের মতো কাজ। তাতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ যুবক-যুবতীরাও আবেদন করেছেন। অক্টোবর মাসের গোড়া থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ইন্টারভিউ। সেখানে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। বাংলা পড়তে পারা এবং লিখতে পারার জন্য ৩০ নম্বর করে রয়েছে মোট ৬০নম্বরের মূল্যায়ন। ইংরেজি কিংবা হিন্দি পড়তে পারলে ১০ নম্বর, জেনারেল নলেজ ২০ নম্বর এবং ফিটনেস পরীক্ষায় থাকছে আরও ১০ নম্বর।
পূর্ব মেদিনীপুরে বনদপ্তরের এক অফিসার বলেন, ষষ্ঠী থেকে একাদশী পর্যন্ত ছ’দিন এবং লক্ষ্মীপুজোর দিন ছুটি থাকবে। বাকি দিনগুলিতে ম্যারাথন গতিতে ইন্টারভিউ চলবে। অক্টোবর মাসের মধ্যেই শেষ হবে ইন্টারভিউ। বৃহস্পতিবার ৫৭কিলোমিটার বাইক চালিয়ে নন্দীগ্রাম-১ব্লকের সোনাচূড়া থেকে তমলুকে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন মানিক শাসমল। ইন্টারভিউ শেষে তিনি বলেন, একটাই প্রশ্ন করা হয়েছিল। কুয়োয় কোনও প্রাণী পড়ে গেলে কীভাবে তুলতে হবে।