বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন ওই ঘটনার জেরে আধঘণ্টা ধরে এলাকায় ব্যাপক জমায়েত হয়। ঘটনার প্রতিবাদে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ওই পথে বিজেপি নেতারা আন্দোলন শুরু করে দেন। ইংলিশবাজার-পুরাতন মালদহ সেতু মোড় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তাতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিজেপি নেতারা পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে অনড় থাকেন। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই এধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, নিতাইবাবু একজন জনপ্রতিনিধি। সেই পরিচয় দেওয়ার পরেও তাঁকে ফেলে মারধর করা হয়েছে। এটা অন্যায়। ট্রাফিক পুলিস এবং পুলিসের ভূমিকা নিয়ে আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবিষয়ে জেলা ট্রাফিক ওসি তরুণ সাহা বলেন, ট্রাফিক পুলিস কাউকে মারধর করেনি। অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কি হয়েছিল এদিন? বিজেপি নেতা নিতাই মণ্ডল বলেন, আমি দলীয় কাজে ইংলিশবাজার শহরে যাচ্ছিলাম। সেতু মোড়ে ট্রাফিক পুলিস আমার পথ আটকায়। বাইকের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায়। আমার সবকিছুই ঠিক ছিল, কেবল ধোঁয়া পরীক্ষার কাগজটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা নিতে বলি। তারা সেটা না করে দীর্ঘক্ষণ আমাকে আটকে রাখে। প্রতিবাদ করলে মারধর শুরু করে। আমি বর্তমানে জখম অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিতাইবাবুর স্ত্রী রুমা সরকার মণ্ডল বলেন, আমার স্বামী একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি বিজেপি করে বলে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে তাকে পরিকল্পনামাফিক শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। আমি এনিয়ে ইংলিশবাজার থানায় অভিযোগ জানাব।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, আমরা কখনও পুলিসকে ব্যবহার করিনি। যতদূর শুনেছি, ওই ব্যক্তির কাছে বৈধ কাগজ ছিল না। তাই ট্রাফিক পুলিস তাঁকে আটকে দিয়েছে।
পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুরের বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধি হওয়ার পাশাপাশি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি পদেও রয়েছেন। এদিন দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে যোগ দিতে আসছিলেন তিনি। সে সময় কর্তব্যরত পুলিস ও ট্রাফিক তাঁর পথ আটকে কাগজপত্র যাচাই করে। গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষার কাগজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। তাই তাঁকে আটকে রাখা হয়। পরে ট্রাফিক পুলিসের সঙ্গে নিতাইবাবু বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ট্রাফিক পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে বিজেপি দপ্তর থেকে নেতা কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। নিতাইবাবুকে মারধর করার প্রতিবাদে ইংলিশবাজার সেতু মোড় ও পুরাতন মালদহ-সাহাপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা থাকে। পরে বিশাল পুলিসবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।