বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ধূপগুড়ি উৎসব ও গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি, জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি প্রমুখ।
এদিন অনুষ্ঠান সূচনা করে পর্যটনমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা চলে যাওয়ার পর উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দুই মন্ত্রীর মধ্যে সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার মাঝে এদিন তাঁরা মুখোমুখি না হওয়ায় নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও এনিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শিলিগুড়ি থেকে ধূপগুড়িতে আসার রাস্তায় যানজটের কারণে সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারিনি।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উৎসব কমিটির প্রধান রাজেশকুমার সিংহ বলেন, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উৎসব চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। কলকাতা, মুম্বই থেকে সঙ্গীত শিল্পীরা আসবেন। এবারই প্রথম ধূপগুড়ি উৎসব হচ্ছে। এর আগে ধূপগুড়ি গ্রন্থমেলা হতো। কিন্তু এই বছর গ্রন্থমেলার পাশাপাশি উৎসবজুড়ে দেওয়া হয়েছে। উৎসব প্রাঙ্গণে তিনশতাধিক স্টল রয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উৎসব চলবে। বাংলাদেশের স্টল আসছে। আমরা আশাবাদী প্রতিদিন উৎসব প্রাঙ্গণে প্রচুর মানুষের ঢল নামবে।
উৎসব প্রাঙ্গণে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের একটি স্টল এদিন উদ্বোধন করেন পুলিস সুপার অভিষেক মোদি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ধূপগুড়ির মানুষ সংস্কৃতিপ্রেমী। এত বড়মাপের একটি অনুষ্ঠানে শহরবাসী এসে আনন্দ করতে পারবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বইয়ের বিপুল সম্ভার এখানে রয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য পুরসভাগুলিরও এমন উৎসব করা দরকার। শিলিগুড়িতে একটি কাজের জন্য ছিলাম। সেখান থেকে আসতে দেরি হয়েছে। তবে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার সময় এই উৎসব প্রাঙ্গণে আমি ফের একবার আসব।
গত ডিসেম্বর মাসে ধূপগুড়ি উৎসব ও গ্রন্থমেলা খুঁটিপুজো হয়েছিল। পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকলেও জেলায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করে তাদের জনসমর্থনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। জনসংযোগ বাড়াতে এমন উৎসব অনুষ্ঠান করা হলে প্রচুর মানুষ তাতে আসবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে উৎসব শুরু না করে সূক্ষ্ম কৌশলে একবছর আগেই এমন আয়োজন করে তৃণমূল বাড়তি অক্সিজেন জোগাতে চাইছে।