বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের পাঞ্জাবিপাড়ার বাসিন্দা ওই সিএকে অপহরণ করার পর তাঁর বাড়িতে ফোন করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবি জানায় দুষ্কৃতীরা। ওই ফোন কলের টাওয়ার খতিয়ে দেখে পুলিস ও গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সিএ যেদিন নিখোঁজ হন, সেদিন রাতে তাঁর বাড়ির একটি মোবাইল ফোনে কল করে দুষ্কৃতীরা মুক্তিপণ হিসাবে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করে। ওই ফোন নম্বর ও কলের টাওয়ার লোকেট করে জানা গিয়েছে, বিহারের ভাগলপুর এলাকা থেকে ওই কল এসেছিল। তাছাড়া, শহরের সেবক রোডের বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, নিখোঁজের দিন ওই সিএকে শেষবার পায়েল মোড়ের কাছে দেখা গিয়েছে। তাঁর পরনে জ্যাকেট ছিল। সেখান থেকে বিহার, সিকিম এবং ডুয়ার্সে যাওয়া যায়। তাই অপহৃতের খোঁজে পুলিসের একটি দল সিকিম, আর একটি দল ভাগলপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দু’টি দলে তিন-চারজন করে অফিসার রয়েছেন। পাশাপাশি, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত অপহরণের মোটিভ পুলিস বুঝে উঠতে পারেনি।
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এক অফিসার বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে, এটা সাধারণ কোনও গ্যাংয়ের কাজ নয়। এর পেছনে অভিজ্ঞ গ্যাং জড়িত বলেই মনে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই সিএ বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপহৃত হন। এদিন সকালে ওই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি থানার অফিসার সহ ডিডি, এসবি, সাইবার সেল সহ বিভিন্ন উইংসের অফিসারদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন পুলিস কমিশনার ত্রিপুরারী অথর্ব। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার কিনারা করতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। খোদ সিপি এবং ডিসিপি(সদর) ওই দলকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তদন্তের প্রয়োজনে ওই দল অপহৃতর ব্যবসা, সম্পত্তির পরিমাণসহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। ডিসিপি (সদর) অমিতাভ মাইতি বলেন, ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই ঘটনার কিনারা করা হবে।