বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ঘটনার সময় তোলা বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ আমরা খতিয়ে দেখি। তা থেকেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। ঘটনার রাতেই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। কারা হিংসা ছড়াতে প্ররোচনা দিল, তা আমরা জানব। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্ধ উদ্যোক্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হিংসা ও ভাঙচুরের পিছনে তাদের কোনও হাত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, বন্ধের দিন ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় পুলিসকর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এব্যাপারে এদিন পুলিস সুপার বলেন, ওই ফুটেজে দেখতে পাওয়া পুলিস কর্মীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিতকরণের পর এব্যাপারে তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার বাম-কংগ্রেসের ডাকা বন্ধকে কেন্দ্র করে সুজাপুর রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পুলিসের উপর উত্তেজিত জনতা চড়াও হয়। ইটপাটকেল, বোতল প্রভৃতি পুলিসকে ছুঁড়ে মারা হয়। পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় মালদহের ডিএসপি (সদর) সহ বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী ও আধিকারিক জখম হন। পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতারা অবরোধে শামিল হলেও শেষ দিকে জনতা তাঁদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। পুলিসকে আক্রমণ করার জন্য অবরোধ চলাকালীন ইটপাটকেল ও বোমা মজুত করা হয়েছিল। ফলে শেষ দিকে মাইকে ঘোষণা করা সত্ত্বেও সমবেত জনতা হিংসার আশ্রয় নেয়। সরকারি বাস জ্বালানোর সময় বাধা দেওয়ার কারণে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিসকে ‘টার্গেট’ করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবারও থমথমে ছিল সুজাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। অভিভাবক-অভিভাবিকারা অনেকেই এদিন তাঁদের সন্তানদের স্কুল বা মাদ্রাসায় পাঠানোর ঝুঁকি নেননি। বন্ধ ছিল বেশ কিছু দোকানও।
বুধবার যেখানে কার্যত তাণ্ডব চলেছিল, সেখান থেকে কাছেই সুজাপুরের নয়মৌজা হাইস্কুল ও হাই মাদ্রাসা। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি এদিন উল্লেখযোগ্য রকমের কম হওয়ায় স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ঘণ্টার পরেই। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মহম্মদ নাজের হোসেন বলেন, এদিন পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কিছুটা অন্যরকম ছিল। পড়ুয়াদের সংখ্যা খুব কম ছিল। তাই দ্বিতীয় ঘণ্টার পরেই সবাইকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এদিন স্কুলের চারপাশে পুলিস দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, পুলিস কিছু গাড়ির কাচ ভেঙেছে এই অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তা নিয়েও এদিন ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মাদ্রাসার এক শিক্ষক জিয়াউল হক। তিনি বলেন, প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠা একটি ভিডিওতে দেখি কিছু পুলিস কর্মী কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙছেন। তখন বুঝতে পারিনি আমার গাড়ির কাচও একইভাবে ভাঙা হয়েছে। আমরা কোনও অশান্তির মধ্যে নেই। তবে আমার গাড়ির কাচ কোন অপরাধে ভাঙা হল, তা বুঝতে পারছি না।