বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
অনেক মায়েরা তাঁদের শিশুদের নিয়ে আসে গ্রাম পঞ্চায়েতে। তাঁদের কোলের সন্তানদের মাতৃদুগ্ধ পান করাতে গিয়ে সমস্যা হয়। এখন থেকে সেই বিশেষ আলাদা কক্ষে তাঁরা বসে সন্তানদের দুধ খাওয়াতে পারবেন। এছাড়াও সেখানে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। গ্রামের মহিলাদের কথা এবং জনমুখী উন্নয়নের ভেবেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মাটিগাড়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের হরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, গ্রামের বহু মহিলা তাঁদের শিশুদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে নানা কাজে আসেন। অনেক সময় লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের কাজ করতে অনেক সময় গড়িয়ে যায়। সেই সময় শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করাতে সমস্যা হয়। মূলত তাঁদের কথা ভেবেই মা ও শিশুবান্ধব গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে তোলার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছুদিনের মধ্যেই তা উদ্বোধন করা হবে।
পঞ্চায়েত অফিসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ নিতে আসা দুই মহিলা স্বপ্না সরকার ও গৌরী বর্মন বলেন, আমাদের ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে নিয়মিত আসি গ্রাম পঞ্চায়ত অফিসে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। আমাদের কথা ভেবে প্রধান নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে খুব খুশি হলাম। এখন থেকে আমাদের ছেলেমেয়েদের সেখানে নিশ্চিন্তে রাখতে পারব এবং আমরাও নানারকম পরিষেবা নিয়ে পারব।
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, প্রতিদিন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে বহু মহিলা আসে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, জন্মের সার্টিফিকেট সহ নানা রকম কাজে। প্রায় প্রতিদিনই চলে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ। অনেক সময় ছোট্ট শিশুদেরও নিয়ে আসে তাঁদের মায়েরা। তখন মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য একটু সমস্যা হয় মায়েদের। এছাড়াও নানারকম সমস্যায় ভোগেন গ্রামের মহিলারা। এবার সেই মহিলাদের কথা ভেবে এবং জনমুখী উন্নয়নের লক্ষ্যে মা ও শিশু বান্ধব গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ভবনের নিচ তলায় একটি আলাদা কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে শিশুদের যত্ন ও দেখাশোনার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বাচ্চাদের জন্য থাকবে নানা রকম খেলনা ও মনোরঞ্জনের সামগ্রী। এছাড়াও মহিলাদের থাকবে একটি শৌচালয়। সেখানে মিলবে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিনের পরিষেবা। গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের জন্য আসা সব মহিলা প্রয়োজনমত সেই পরিষেবা নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যায়ে খরচ করা হচ্ছে সেই প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই ঘরের সব কাজ শেষ। নতুন বছরের প্রথম দিকেই মন্ত্রী দ্বারা উদ্বোধন করা হবে সেই প্রকল্প। এছাড়াও সর্বসাধারণের সুবিধার্থে পঞ্চায়েতে বসানো হয়েছে জলের মেশিন। সেখান থেকে মিলবে ঠান্ডা ও পানীয় জলের সুবিধা।