সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মৃতের পরিবারের দাবি, বুধবার বিকালে বাড়ির অদূরে একটি সরকারি টিউবওয়েলে জল নিতে যায় পরিবারের কয়েকটি বাচ্চা। সেই সময় প্রতিবেশী এক পরিবারের শিশুরাও সেখানে জল নিতে এসেছিল। কে আগে জল নিতে এসেছে তা নিয়ে শিশুদের মধ্যে বচসা বাধলে মৃতের বৌদি সেখানে গেলে তাঁকে অপর পক্ষের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর শেখ ইসরাইল সেখানে গেলে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে প্রথমে করণদিঘি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের দাবি সামান্য বিবাদে ইসরাইলকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
মৃতের দাদা শেখ মাতায়া বলেন, বাড়ির শিশুরা কল থেকে জল নিতে গিয়েছিল। সেই সময়ে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীর এক পরিবারের শিশুদের বচসা হয়। কে আগে জল নিতে এসেছে, কে পরে এসেছে এই নিয়ে গণ্ডগোল হচ্ছিল। সেই সময়ে আমার স্ত্রী সেখানে যান। তখন তাকে ওরা মারধর কর। তা দেখে আমার ভাই সেখানে গেলে তাকেও প্রচণ্ড মারা হয়। এতেই সে আহত হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। বুধবার বাচ্চাদের সাধারণ, তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ওরা যা করল তা নিন্দার কোনও ভাষা নেই। শীঘ্রই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে। করণদিঘি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা গিয়েছে তারা সকলেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। লিখিত অভিযোগ এলে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও বলেন, জল নিয়ে বাচ্চাদের গণ্ডগোলকে এতদূর টানা উচিত হয়নি। ওদের মধ্যে পুরানো ঝামেলা ছিল বলেই ওই সামান্য ঘটনা বড় আকার নেয়। রাতের দিকে গণ্ডগোল হওয়ায় পাড়া প্রতিবেশীরাও খুব একটা জড়াননি। এদিকে মৃত শেখ ইসরাইল ট্রাক্টর চালাতেন। তিনি নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন। তাঁর এই মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ শাহনওয়াজ বলেন, ওদের মধ্যে পুরনো বিবাদ ছিল। বাচ্চাদের ঝগড়া নিয়ে প্রথমে মহিলাদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। তারপর পুরুষরা জড়িয়ে যায়। একদমই অবাঞ্ছিত ঘটনা।
জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, ওখানে দুই পরিবারের মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। বুধবার দুই পক্ষ গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। এতে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু দিন ধরেই ওই এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে রাস্তার জন্য জমি ছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল। ওই দিন বিকালে দুই পরিবারের শিশুরা কলে জল নিতে গেলে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। সেই বিবাদেই আবার জড়িয়ে পড়েন দুই পরিবারের বড় সদস্যরা। সেই সময় মারপিট বাধে। তখনই শেখ ইসরাইলকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেদম মারা হয় বলে অভিযোগ। এতেই গুরুতর আঘাত পান তিনি। বুধবার রাতে রায়গঞ্জ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওগা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।