কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়েজ হস্টেলের আবাসিকরা বলেন, রাতে জল এবং বিদ্যুতের সমস্যা হওয়ায় হস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের বদলে মহানন্দার জল খেয়ে রাত কাটানোর পরামর্শ দেন। এরপরেই ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অবস্থানে বসেন। তাঁদের অভিযোগ, ভোররাতে বহিরাগত কিছু ছেলে ক্যাম্পাসে ঢুকে তাঁদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে। এতে তাঁরা আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিন সকালে ছাত্রীরাও বিক্ষোভ অবস্থানে যোগ দেন। তাঁদেরও অভিযোগ, গার্লস হস্টেলেও অনেক সমস্যা আছে। কর্তৃপক্ষ সেসব নিয়ে উদাসীন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেন বলেন, ছাত্রদের সমস্যার কথা শুনে আমি আধিকারিকদের নিয়ে রাত ১১টা নাগাদ হস্টেলে যাই। কিন্তু ছাত্ররা সেখানে ছিল না। তাঁদের জন্য আমরা হস্টেলে প্রায় ৬০ লিটার জল নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে জেনে টেলিফোনে যোগাযোগ করি। হস্টেলে ফিরে আসতেও বলি। কিন্তু তাঁরা আমাদের অনুরোধ রাখতে অস্বীকার করায় ভোর ৪টে নাগাদ ফিরে যাই। তাঁরা না আসায় জল দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্লাবন সাহা বলেন, আমাদের দাবি মেনে সমস্যা সমাধানের কোনও লিখিত আশ্বাস উপাচার্য দেননি। তবে তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। আমাদের পরীক্ষা সামনেই। তাই বাধ্য হয়ে অবস্থান তুলে নিয়েছি। সমাধান না হলে ফের আন্দোলনে নামা হবে। ওই আধিকারিককে এদিন একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য দু’টি পৃথক হস্টেলের শিলান্যাস করা হয়। ওই বছরই শুরু হয় নির্মাণ কাজ। কিন্তু এতদিনেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে আবাসিক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে ভাড়া নিয়ে অস্থায়ীভাবে হস্টেল করা হয়েছে। দু’টি হস্টেলের ভাড়া হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন থেকে তাঁদের খাবার দেওয়া হয়। আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অস্থায়ী হস্টেলের জন্য প্রতি মাসে এত টাকা খরচ করা হচ্ছে, কেন দ্রুত স্থায়ী হস্টেল নির্মাণ শেষ করতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে তা নিয়েও তাঁরা সরব হন। পাশাপাশি হস্টেলের নিরাপত্তা, ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলন।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, স্থায়ী হস্টেল তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ, জানালা, দরজা লাগানোর কাজ বাকি আছে। ওই আধিকারিকের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আধিকারিক হয়তো বলেছিলেন মহানন্দার জল ব্যবহার করতে। তবে ওই জল কখনই খেতে বলেননি। ছাত্রদের কোথাও বুঝতে ভুল হয়ে থাকতে পারে।