কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও এই ক্যালেন্ডারে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপবাবুর নিজের ছবি রয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকারের ছবিও রয়েছে। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি শুভাশিস বর্মন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ছবি নিয়ে বিরোধিতার কোনও জায়গা নেই। তাঁদের ছবি থাকতেই পারে। কিন্তু এই ক্যালেন্ডারে কিছু তৃণমূল নেতার ছবি থাকা নিয়েই আমাদের আপত্তি। তাঁদের ছবি ব্যবহার করায় প্রমাণ হচ্ছে সরকারি টাকায় এই ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে তৃণমূলের প্রচার করা হচ্ছে। যার ছবি থাকা নিয়ে বেশি অভিযোগ সেই মোহন শর্মা বলেন, তৃণমূল নেতাদের ছবি না ছেপে বিরোধীদের ছবি ছাপা হবে? যা হয়েছে তাতে দোষের কিছু নেই। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান বলেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পরামর্শ নিয়েই এই ক্যালেন্ডার ছাপা হয়েছে। এই কালেন্ডারে সারা বছরের ছুটি ও কাজের দিনের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এতে স্কুলগুলির শিক্ষক, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সুবিধা হবে। রাজ্যে আমরাই প্রথম এই ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলাম। ছবি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করা হচ্ছে।
এই ক্যালেন্ডার প্রতিটি স্কুলে ও অবরবিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল ও অবরবিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে এই ক্যালেন্ডার টাঙানো থাকলে সারা বছর কাজের দিন ও ছুটির দিন নিয়ে আর কাউকে সমস্যায় পড়তে হবে না। ইতিমিধ্যেই অবরবিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের মাধ্যমে এই ক্যালেন্ডার বিলির কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় ১২টি অবরবিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস আছে। অবরবিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের মাধ্যমে জেলার ৮৪০টি প্রাথমিক স্কুলে এই ক্যালেন্ডার দ্রুত পৌঁছে যাবে বলে সংসদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আগে আলিপুরদুয়ার জেলায় সারা বছরের ছুটি ও পঠন পাঠনের দিন নিয়ে নানা অসুবিধা ও সমস্যায় পড়ত প্রাথমিক স্কুলগুলি। এবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ একই রুটিন মোতাবেক সারা বছরের ছুটি ও পঠনপাঠনের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করায় প্রতিটি স্কুলেরই তাতে সুবিধা হল বলে জেলার শিক্ষামহল মনে করছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি একটি অভিনব ও ভালো উদ্যোগ। এতে স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষিকারা উপকৃত হবেন। ছুটির দিন বা কাজের দিন নিয়ে শিক্ষকদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না।