বিএনএ, শিলিগুড়ি: অনলাইন চা নিলামে অংশগ্রহণ বাড়াতে এবার নিলাম পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে টি বোর্ড। অসমের জোড়হাটে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই নতুন পদ্ধতিতে নিলাম শুরু হবে। চায়ের গুণগত মান নির্ণয়ের জন্য খড়্গপুর আইআইটি’র সাহায্য নিচ্ছে টি বোর্ড। শুক্রবার শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে এসে একথা জানিয়েছেন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায়। এদিন শিলিগুড়ির চা নিলাম কেন্দ্রের হলে লঘু উদ্যোগপতি ভারতীর উত্তরবঙ্গ শাখার তাদের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সিআর চৌধুরির। সংগঠকরা জানিয়েছেন, বিমান বিভ্রাটের জন্য তিনি এদিন আসতে পারেননি। চায়ের বাজার তৈরির জন্য গুণগত মান বৃদ্ধির উপরে জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, চায়ের গুণগত মান বৃদ্ধির বিষয়টি টি বোর্ডের হাতে নেই। এর দায়িত্ব চা উৎপাদকদেরই নিতে হবে। এর বাইরে চা শিল্পকে লাভজনক করার জন্য যা যা করার দরকার তা করে যাচ্ছে টি বোর্ড। তাই চায়ের নিলামে ব্যাপক অংশগ্রহণের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এর রেশ ধরে তিনি জানান, অনলাইন নিলামে যাতে আরও বেশি করে ব্যবসায়ীরা অংশ নিতে পারেন তার জন্য নিলামের পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নিলামের নতুন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, এখন থেকে চাইলে কেউ সামান্য পরিমাণ চা নিয়েও নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
চায়ের গুণগত মান নির্ণয়ের প্রসঙ্গে অরুণবাবু বলেন, খড়্গপুর আইআইটি একটি মেশিন তৈরি করছে যা দিয়ে চায়ের গুণগত মান সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে। এই মেশিন চায়ের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিটি জিনিসের মান নির্দিষ্ট করে দেবে। সেইমতো চা মেশিনে দিয়ে দেখা হবে মেশিন নির্ধারিত মান পূরণ করতে পারছে কি না। পারলেই সেই চা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। এই মেশিন কবে চালু হবে এখনই তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না টি বোর্ড। অরুণবাবু বলেন, এই মেশিন নিয়ে আইআইটি খড়্গপুরের গবেষকরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছেন। তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন। তাড়াতাড়িই এই মেশিন ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।