কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিন সকালে অনেকেই শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত চত্বরে দীর্ঘ সময় ধরে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়। বম্বস্কোয়াডের আসার আগে শিলিগুড়ি থানার এক এসআই ও এক হোমগার্ড এসে পৌঁছান। হোমগার্ড দীপক কর ওই ব্যাগ খুলতে শুরু করেন। ঘটনায় আদালত চত্বরে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও আইনজীবীরা হোমগার্ডকে বাধা দিতে সচেষ্ট হন। যদিও সব বাধা উড়িয়ে ওই ব্যাগ খুলে ফেললেন তিনি। আদালত চত্বরে উপস্থিত সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, পুলিস এমন হঠকারি পদক্ষেপ না নিলেও পারত। সত্যিই যদি ওই ব্যাগে বিস্ফোরক থাকত তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত। নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি আদালত চত্বরে উপস্থিত সকলের কথা ভেবে পুলিসের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
এবিষয়ে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের এক আধিকারিক বলেন, কোনও বিষয়কেই তুচ্ছ মনে করা উচিৎ নয়। হঠকারী সিদ্ধান্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়। নিয়ম অনুসারে যে কোনও পরিত্যক্ত ব্যাগ বা বস্তু ধরার আগে নূন্যতম চেকিং করা প্রয়োজন। তাতেও কাজ না হলে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে তা একবার যাচাই করে নেওয়া উচিৎ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে জেলা শহর আলিপুরদুয়ারের চৌপথিতে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় তা আচমকা ফেটে যায়। ঘটনায় মারা যায় লাল বাহাদুর লোহার নামে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের এক কনস্টেটবল। একই সঙ্গে জখম হয়েছিলেন আরও দু’জন কনস্টেবল। জানা গিয়েছে, ওই বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। সামগ্রিক ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও সেই ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি পুলিস মহল। এদিনের ঘটনায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল।