কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
কী করে এই বাংলাদেশি চীনা প্রযুক্তির ধান বীজ এদেশে ঢুকছে? সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শুধু একটি প্রজাতির ধান বীজ চোরাকারবারিদের হাত ধরে এদেশে ঢুকছে। প্রথম দিকে একটু ভালো ফলন হলেও গত দুই বছরে ওই প্রজাতির ধান চাষ করে ফলনে মার খেয়েছেন চাষিরা। চোরাকারবারিদের হাত ধরে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এবারে চার পাঁচ রকম প্রজাতির ধান বীজ বাজারে ঢুকে পড়েছে। খোলা বাজারে মাটিতে দোকান সাজিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে এই ধানবীজ। সীমান্ত এলাকা শীতলকুচি, সিতাই, চ্যাংরাবান্ধা, জামালদহ সহ মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামীণ হাটে প্রকাশ্যে এই ধানবীজ বিক্রি হচ্ছে। শুধু খোলাবাজার নয়, সরকার অনুমোদিত বীজ ডিলারদের একাংশও গোপনে বাংলাদেশ থেকে আসা এই বীজধান বিক্রি করছেন। অথচ এব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, অজানা এই ধানবীজ চাষ করে শুধু নিজের ক্ষতি নয়, পাশ্ববর্তী এলাকার কৃষকদেরও ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
মাথাভাঙা মহকুমা কৃষি আধিকারিক গোপালচন্দ্র বর্মা বলেন, আমরা শুনেছি চোরাপথে বাংলাদেশের বীজধান এদেশে ঢুকে পড়ছে। চাষিদের সচেতন করতে আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে এনিয়ে প্রচার করছি। কিন্তু এই বীজধান যদি চীনা প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয় তা হলে সমস্যা আরও ব্যাপক আকার নেবে। কারণ চীন কোন প্রযুক্তিতে ধানবীজ উৎপাদন করেছে তা আমাদের জানা নেই। একই সঙ্গে রোগপোকার আক্রমণ হলে কী ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সেটাও জানা নেই। ফলে এই ধানবীজের খেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে এই সমস্ত ধান খেত থেকে পাশ্ববর্তী খেতে রোগপোকা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা আমাদের অনুমোদিত ডিলারদের দোকান নিয়মিত দোকান ভিজিট করি। কারও কাছে এধরনের বীজ পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা খোলা বাজারে বাংলাদেশি বীজ বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিসের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।