শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গত বছরই সুপারিশ করেছিল সরকারের কাছে। সম্প্রতি সাধারণ বাজেটে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জিএসটি হারের নানাবিধ স্তর জটিলতা সৃষ্টি করছে বলেই দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তো বটেই, দেশজুড়ে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনও লাগাতার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এছাড়া বেশ কিছু পণ্যের উপর জিএসটি কমানোর দাবিও রয়েছে। এই দাবি ও চাপের মধ্যে অন্যতম ইস্যু হল একটি সর্বজনগ্রাহ্য জিএসটি হার নির্ধারণ করা। সেই লক্ষ্যে সম্ভবত আগামী মাসে ১৮ এবং ১২ শতাংশের জিএসটি হারকে সংযুক্ত করে একটি নতুন হার তৈরির সিদ্ধান্ত নেবে কাউন্সিল। সরকারি সূত্রের খবর, নতুন হার ১৪ অথবা ১৬ শতাংশ করার প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত জিএসটি কাউন্সিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আগামী আর্থিক বছর থেকেই জিএসটির নয়া হার কার্যকর হবে।
২০১৭ সালে এই নয়া করকাঠামো চালু হয়। তার পর থেকে একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন করতে হয়েছে জিএসটি হারের। তাতেও জটিলতা, এবং ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ কমেনি। বর্তমানে ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ জিএসটি হার চালু রয়েছে। এই চারটি ধাপ পাল্টে দিয়ে তিনটি ধাপে আনার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দিনে আরও কমতে পারে জিএসটি ধাপের সংখ্যা।
জানা গিয়েছে, ১২ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি হারকে সংযুক্ত করে যে নতুন স্তর ধার্য করার কথা ভাবা হচ্ছে, সেটিকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসটি তকমা দেওয়া হবে। সিংহভাগ পণ্যই আসবে এই প্রস্তাবিত জিএসটি হারের অধীনে। লকডাউনের পর গত তিন মাসে জিএসটি আদায় ফের ঊর্ধ্বগামী। লাগাতার ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হয়েছে জিএসটি সংগ্রহ। জানুয়ারি মাসে আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার কোটি টাকা। যা রেকর্ড। স্ট্যান্ডার্ড জিএসটি হার চালু হলে কর আদায়ের পরিমাণও বহুগুণ বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।
যদিও এক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া হবে। যেসব পণ্যের জিএসটি এখন ১২ শতাংশ, সেই পণ্যের দাম বাড়বে নতুন হার চালু হলে। আবার যে পণ্যের জিএসটি এখন ১৮ শতাংশ, সেগুলির দাম কমবে। পাশাপাশি চর্ম, বস্ত্র, অটোমোবাইলের জিএসটি কমানোর দাবিও প্রবল। সেই দাবি নিয়েও আলোচনা হবে মার্চ মাসের কাউন্সিলের বৈঠকে।