শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাকেশ টিকায়েত কেন্দ্রকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন যে, কৃষকদের এই আন্দোলনে এবার জুড়বে ৪০ লক্ষ ট্রাক্টর। আর সেই ট্রাক্টর দিয়েই ঘিরে ফেলা হবে সংসদ ভবন। এদিন ফের কৃষক নেতৃত্বের মুখে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকারের। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির সীমানাগুলিতে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। তিন মাস কেটে গেলেও দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু, দিল্লি-রোহতক করিডরের তিক্রি, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানার পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার শাহজাহানপুরেও উত্তেজনা কমছে না। একইরকমভাবে সীমানা অবরোধ করে বসে রয়েছেন কৃষকরা। কোথাও কোথাও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। মজুত রয়েছে জলকামান, ব্যারিকেড, পুলিসকর্মী। শনিবারও বিক্ষোভস্থলগুলিতে কৃষকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনও পরিস্থিতিতেই আন্দোলন তুলে নেওয়ার প্রশ্ন নেই। একমাত্র কৃষি আইন বাতিল করলেই সীমানা মুক্ত করে দেওয়া হবে।’ অথচ কেন্দ্রীয় সরকারও বুঝিয়ে দিয়েছে যে, বাতিল নয়, কৃষি আইন সংশোধনেই তারা রাজি। ওই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে স্নায়ুর লড়াই চলছেই।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই গাজিপুর সীমানা অবরোধ করে বসে থাকা চাষিরা দাবি করেছেন, ‘পরবর্তী দু’দিনের মধ্যে আরও অন্তত ৩০টি ট্রাক্টর নিয়ে কৃষক মিছিল গাজিপুরে যোগ দিচ্ছে।’ আজ, রবিবার উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে কিষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছে। তারপরই আরও কৃষক মিছিল দিল্লি সীমানার দিকে রওনা দেবে। এমনই জানিয়েছে সংগঠনগুলি। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কিষান মোর্চার সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি নিয়ে কথা বলছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। এবার হিমাচল প্রদেশের ১৯টি সংগঠন কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ওই ১৯টি সংগঠনের মধ্যে যেমন কিছু কৃষক সংগঠন রয়েছে, তেমনই মহিলা সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতো সংগঠনও রয়েছে। খুব শীঘ্রই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।