শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
তেল সংস্থার দামের উপর ভিত্তি করেই খাদ্যদপ্তর প্রতি মাসে কেরোসিনের দাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। জেলা অনুযায়ী এই দাম কিছুটা কম-বেশি হয়। জুন মাসে কলকাতায় প্রতি লিটার কেরোসিনের সরকার নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য ছিল ১৭.২৯ টাকা। তেল সংস্থার ইস্যু প্রাইসের সঙ্গে জিএসটি, হোলসেলার ও ডিলারের কমিশন, পরিবহণ খরচ প্রভৃতি যুক্ত করে দপ্তর বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে। বুধবার সরকারি ছুটি থাকায় খাদ্যদপ্তর জুলাই মাসে কেরোসিনের বর্ধিত দামের বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তেল সংস্থা কেরোসিনের যে সরবরাহ মূল্য ধার্য করেছে, তাতে এই মাসে বিক্রয়মূল্য ২৭ টাকার আশপাশে চলে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে এখন রেশনে প্রায় ৯.৯০ কোটি গ্ৰাহক কেরোসিন পান। এর মধ্যে প্রায় ৯.৭০ কোটি মানুষের মাসে মাথাপিছু বরাদ্দ ৫০০ মিলি থেকে ১ লিটার।
জুন মাসে পেট্রল ও ডিজেলের দাম প্রায় প্রতিদিন বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় সরকারের যাতে আয় বাড়ে, সেই লক্ষ্যে হাতিয়ার করা হয়েছে জ্বালানি তেলকে।
কিন্তু, রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের উপর কেন্দ্রের এক্সাইজ বা রাজ্যের বিক্রয়কর কোনওটাই নেই। শুধু ৫ শতাংশ হারে জিএসটি আছে। তাও উপরের দু’টি স্তরে কেনাবেচার উপর জিএসটি দিতে হয়। ডিলার যখন গ্ৰাহককে কেরোসিন বিক্রি করেন, তখন কোনও জিএসটি যুক্ত হয় না। প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময় কেরোসিনের দাম অনেকটা কমানো হয়েছিল। কিন্তু, জুলাই মাসে দাম বৃদ্ধির হার তার চেয়েও চড়া হল। মনে করা হচ্ছে, আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই কেরোসিনের উপর সরকারি ভর্তুকি কমাতে ফের সক্রিয় হয়েছে মোদি সরকার। এই লক্ষ্যে গত ২০১৬ সালের জুলাই থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত লিটারে ৫০ পয়সা করে দাম বাড়ানোর নীতি নিয়েছিল সরকার। ফলে তখন কেরোসিনের দাম ১৬ টাকা থেকে পৌঁছে যায় ৪০ টাকার দোরগোড়ায়।