শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
বুধবার ঘটনার সূত্রপাত বারামুলা জেলার সোপোরে। এদিন সকালে বাস থেকে নামছিল সিআরপিএফের একটি টহলদারি দল। সেই সময় পাশের একটি মসজিদ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পুলিস জানিয়েছে, জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। হামলা চলার সময় জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছেন শিশুটির দাদুও। হাসপাতালে ভর্তি আরও তিন জওয়ান।
সোপোরের এই ঘটনার ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা চোখে জল এনে দিচ্ছে দেশের। নিহত বৃদ্ধের নাম বসির আহমেদ খান (৬৫)। প্রজেক্টের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি। যাচ্ছিলেন শ্রীনগর থেকে হান্দওয়ারা। সঙ্গে ছিল তিন বছরের নাতি আয়াদ। মাঝপথে সোপোরে গোলাগুলি শুরু হয়। গাড়ি থেকে নেমে নাতিকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সিআরপিএফ পাল্টা জবাব দিলেও, এই ঘটনার মধ্যেই পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। শুধু বাড়ি ফিরতে পারলেন না বসির খান। উদ্ধার করার পর ছোট্ট আয়াদের কান্না থামাতে তাকে চকোলেট ও বিস্কুট দেন পুলিসকর্মীরা। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিসের গাড়িতে বসে আয়াদ ভাঙা ভাঙা কাশ্মীরিতে বলে চলেছে, ‘বি গাচে গারে’। অর্থাৎ আমি বাড়ি যাব। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। মৃত বৃদ্ধের মেয়ে বলেন, আমার বাবাকে যারা খুন করল, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার নেই। ওরা কি দেখতে পেল না, সঙ্গে একটি শিশু রয়েছে? নিহত বসির খানের ছেলের দাবি, আমার বাবাকে গাড়ি থেকে বের করে এনে গুলি করা হয়েছে। সোপোরের এসএসপি জাভেদ ইকবাল বলেন, শিশুটিকে রক্ষা করতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিলেন ওই বৃদ্ধ।
ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহে অনন্তনাগে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ছ’বছরের এক শিশুর। এদিনের সন্ত্রাসের ছবি স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।
সোপোরের ঘটনার আগে এদিন রাজৌরি জেলায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দেয় সেনাবাহিনী। মারা পড়ে এক জঙ্গি। সেনার এক অফিসার জানান, ভোর ৬টা নাগাদ জঙ্গিদের একটি দল কেরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ৪০০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে। গুলি চালায় সেনা। এক জঙ্গি খতম হয়। উদ্ধার হয় একটি এ কে ৪৭ রাইফেল ও দু’'টি ম্যাগাজিন। জঙ্গিদের দলটির বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিশু আয়াদকে। ছবি: ট্যুইটার