বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
সুশান্তের ছোটবেলা কেটেছে পাটনার রাজীবনগরের যে বাড়িতে, সেখানেই তৈরি হবে মেমোরিয়াল। অগণিত অনুরাগীর জন্য ওঁর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস থাকবে সেখানে। তার মধ্যে থাকবে হাজার হাজার বই, ওঁর টেলিস্কোপ, ফ্লাইট-সিমুলেটর সহ অন্যান্য সামগ্রী। এমনকী, সুশান্তের ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম ও ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট এবং ফেসবুক পেজ তাঁর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে লেগ্যাসি অ্যাকাউন্ট হিসেবে রেখে দেওয়া হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজপুত পরিবার।
প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাদের সুশান্ত সিং রাজপুত ছিল আমাদের গুলশন। স্বাধীনচেতা, অবিশ্বাস্য রকমের উজ্জ্বল এই ছেলেটার আগ্রহ ছিল সব বিষয়ে। ওর স্বপ্নের কোনও সীমা ছিল না। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য সাহসী ছেলেটা ঝাঁপিয়ে পড়ত। উদ্দাম হাসতে পারত। আমাদের পরিবারের গর্ব আর অনুপ্রেরণা ছিল সে। টেলিস্কোপটা ছিল ওর সবচেয়ে প্রিয়, ওটা দিয়ে প্রাণভরে আকাশের তারা দেখত। ওর সেই সহজ হাসি আর শুনতে পাব না, ওর সেই উজ্জ্বল চোখ দু’টো আর দেখতে পাব না, বিজ্ঞান নিয়ে অনবরত ওর বলে যাওয়া কথা আর কানে বাজবে না— এগুলো আমরা এখনও মানতে পারছি না। ওর চলে যাওয়ার পর পরিবারের মধ্যে যে চিরকালীন শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা কোনওদিন মিটবে না।’ সুশান্তকে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য ওঁর অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে তাঁর পরিবারের তরফে। তবে শুধু ভালোবাসাতেই অনুরাগীরা থেমে নেই... কারণ তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না এই মৃত্যু। তাই প্রতিদিন আরও জোরালো হচ্ছে সিবিআই তদন্তের দাবি। এই দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য তথা অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। ট্যুইটারে তিনি একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন। কখনও ভিডিও পোস্ট করে প্রশ্ন তুলছেন, কে সুশান্তের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অপারেট করছেন? সুশান্ত যাঁদেরকে ফলো করতেন, সেই সংখ্যা কমে যাচ্ছে কেন? শনিবার সকালে রূপা প্রশ্ন তুলেছেন, বলিউডের একজন তরুণ প্রতিভার মৃত্যুকে আমরা কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারি? যিনি কোয়ান্টাম ফিজিক্স পড়তেন, কবিতা পড়তেন, কোডিং নিয়ে কথা বলতেন, আবার মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েও গভীর আগ্রহ দেখাতে... । তাঁকেই আবার দেখা যেত সমাজসেবায়।