বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
বলিউড গায়ক সাইম ভাট এবং রিকনসিলিয়েশন, রিটার্ন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অব কাশ্মীরি মাইগ্র্যান্ট সংগঠনের চেয়ারম্যান সতীশ মহলদারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই র্যালির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাথ দো’। বাংলায় যার অর্থ ‘সহযোগিতা করুন’। জানা গিয়েছে, বাটামালু থেকে শুরু হবে র্যালি। তারপর শহরে এসে প্রেস ক্লাবের সামনে সকলে জড়ো হবেন। সতীশ মহলদার বলেন, ‘গত ৩০ বছরে এই প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সবটাই করা হচ্ছে শান্তির জন্য। আজ আমাদের মা-বোনেরা কাঁদছেন। সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আসুন পুরনো সবকিছু ভুলে গিয়ে আমরা শান্তির জন্য একে অপরের হাত ধরি। আপনাদের ভগবানের দোহাই দিচ্ছি, দয়া করে উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনুন।’ এরপর র্যা লির আকার-আয়তন ও রুট সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, কমপক্ষে ১৫০ মানুষ বাইক ও গাড়িতে এই র্যালিতে অংশ নেবেন। পোলো ভিউ-তে এসে মিছিল শেষ হবে। সতীশের কথায়, ‘যেহেতু এটা প্রথম উদ্যোগ, তাই আমরা বেশি ভিড় আশা করছি না। তবে কুলগাঁও, বদগাঁও, সোপিয়ান সহ একাধিক এলাকা থেকে মানুষ এই র্যালিতে যোগ দেবেন।’
তবে, এই কর্মসূচির সবচেয়ে বড় চমক হল এক লক্ষ সাদা পতাকা। শান্তির বার্তা দিতেই ওই পতাকার পরিকল্পনা করেছেন আয়োজকরা। ইতিমধ্যেই সেগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়ে গিয়েছে। সকলকেই নিজেদের বাড়ি বা দোকানের মাথায় ওই পতাকা লাগাতে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন ঘরছাড়া থাকার পর সম্প্রতি ফের উপত্যকায় ফিরছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। তাঁদের সেই প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ তৈরি করে দিতেও এই র্যালির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সতীশ। তাঁর কথায়, ‘আসুন আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনি। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রত্যাবর্তন ছাড়া ভারতের মূল ভাবনাটাই অপূর্ণ থেকে যায়। শুধু কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই নন, বহু শিখ ও মুসলিম পরিবারও ভিটে-মাটি ছেড়েছিলেন। যার ফলে কাশ্মীরের দুর্নামও হয়েছে। আসুন, তাঁদের সকলকে ফিরিয়ে এনে আমাদের ভাবমূর্তি শোধরানোর চেষ্টা করি।’
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু জম্মুতেই কাশ্মীর থেকে আসা ৪১ হাজার ১১৭টি পরিবার বসবাস করে। অন্যদিকে, দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যে বসবাস করছেন আরও ২১ হাজার কাশ্মীরি পরিবার। জম্মুতে বসবাসকারী কাশ্মীরিদের মধ্যে হিন্দু পরিবার রয়েছে ৩৭ হাজার ১২৮টি। পাশাপাশি, মুসলিম এবং শিখ পরিবারের সংখ্যা যথাক্রমে ২ হাজার ২৪৬ এবং ১ হাজার ৭৫৮। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আর্থিক প্যাকেজ বাবদ ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। ঠিক হয়, উপত্যকায় থাকা বাড়ি সংস্কারের জন্য ওই প্যাকেজ থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সাড়ে সাত লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এর সঙ্গে ঘরে ফেরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য প্রায় ৬ হাজার সরকারি চাকরির ব্যবস্থাও করবে সরকার।