শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১২৪ দিনে ১৫ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। কেসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ আশিক আহমেদ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর ফলে কাশ্মীরের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’ তবে এই হিসেব সম্পূর্ণ নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রকৃত ক্ষতি জানতে অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহলের থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বর্তমান পরিস্থিতি জানতে প্রত্যেক ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ব্যবসায়ীদের থেকে আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতেই আমরা কেবল তথ্য সংগ্রহ করছি না। এই রিপোর্ট আমরা প্রকাশ করতে চাই।’ সংস্থার কর্মীরা ব্যাপকভাবে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আহমেদ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে উপত্যকায় ব্যবসায় যেন রক্তপাত শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় যোগাযোগের অভাবে বহু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। আর অনিশ্চয়তার জেরে হস্তশিল্প সামগ্রী উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ। কেসিসিআইয়ের মতে, প্রায় ৫০ হাজার হস্তশিল্পী কর্মচ্যুত হয়েছেন। আর হোটেল এবং রেস্তরাঁয় কাজ হারিয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাছাড়া ক্যুরিয়ার এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ১০ হাজার কর্মী। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে একসময় প্রতিদিন উপত্যকায় ১২০ কোটি টাকা করে লোকসান হতো। এখন পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর পর্যটকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর ১০ হাজার পর্যটক এখানে এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এটা ১৯৫ শতাংশ কম। গত বছর এই সময়ে কাশ্মীরে পর্যটক এসেছিলেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫৭ জন।