শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার বেশ কয়েকটি জেলাকে দ্বিখণ্ডিত করে মোট ন’টি নতুন জেলা গঠন করে। সেগুলি হল, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গালপট্টু, ভেলোর, থিরুপাট্টুর, রানিপেটি, ভিল্লুপুরম, কাল্লাকুরুচি, তিরুনেলভেলি এবং তেনকাশি । গত সোমবার তামিলনাড়ুর পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দু’টি পর্যায়ে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম পর্যায়ের ভোট হবে ২৭ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট হবে ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু নতুন গঠিত ন’ জেলার ডিলিমিটেশনের রূপরেখা, সংরক্ষণ নিয়ে স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত সহ একাধিক আইনি দিকগুলি অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে বলে বিরোধীদল ডিএমকের অভিযোগ। আইনি বিষয়গুলি অসম্পূর্ণ রেখে ভোটে যাওয়া ঠিক হবে না বলে দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ডিএমকে।
এদিন, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে সরকার পক্ষের আইনজীবী অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ ও বিভিন্ন মামলার প্রসঙ্গ টেনে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, কোনও জেলাকে দ্বিখণ্ডিত করে নতুন জেলা গঠনের পর ডিলিমিটেশনের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে হয়। মহিলা, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের আসন সংরক্ষণের বিষয়েও স্বচ্ছতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এছাড়াও জেলা ভাগের সঙ্গে বেশকিছু আইনি প্রক্রিয়া জড়িয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে তার কোনওটাই সঠিকভাবে পালন করা হয়নি বলে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ। আর সেই কারণেই ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে আগামী চারমাসের মধ্যে জেলা গঠনের প্রাসঙ্গিক আইনি দিকগুলি সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।