সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মঙ্গলবার ‘কম্পিউটার বাবা’কে দিয়ে যজ্ঞ করান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কংগ্রেস নেতার বাড়ি যজ্ঞিবাড়ি হয়ে ওঠে। সাদা কুর্তা-পায়জামা পরে পুজোয় বসেন দিগ্বিজয় সিং। উপলক্ষ আগামী ১২ মে নির্বাচনে তিনি যেন বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তাঁর এই মনোস্কামনা পূরণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন নামদাস ত্যাগী। যিনি ‘কম্পিউটার বাবা’ নামে বেশি খ্যাত। যজ্ঞের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধর্মগুরু বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে দিগ্বিজয় সিংয়ের জয়লাভের জন্য ‘হাত যজ্ঞ’র আয়োজন হয়েছে। একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে বাবা বলেন, রাম মন্দির করব বলে বিজেপি দেশের প্রত্যেক সাধুসন্তকে বোকা বানিয়েছে। রাম মন্দির ওদের রাজনৈতিক ইস্যু। ধর্মীয় লক্ষ্য নয়। প্রত্যেক সাধুর এখন একটাই বক্তব্য, রাম মন্দির না হলে মোদি সরকারও হবে না।
এই কম্পিউটার বাবা একসময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ‘মধুর’ সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায় গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ভোটে টিকিট না পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। এখন তিনি কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ।
রাজনৈতিক মহলের মত, দিগ্বিজয় সিংয়ের যজ্ঞ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে রাজনৈতিক মোকাবিলার একটি প্রয়াস। হিন্দু ভোট নিজেদের দিকে টানতে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের মতো কট্টর হিন্দু নেত্রীকে প্রার্থী করা বিজেপির অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক। যার মোকাবিলায় কম্পিউটার বাবার মতো স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে ব্যবহার কংগ্রেস নেতার আর একটি কৌশল। পাশাপাশি, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রচারে মালেগাঁও বিস্ফোরণ সহ অন্যান্য মামলার উদাহরণ তুলে ধরছেন দিগ্বিজয় সিং। আর এই নিয়ে দু’দলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে। গত মার্চ মাসে একটি জনসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন কংগ্রেস নেতা। আমি তাঁর নাম উচ্চারণ করতে চাই না। উনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওনার নাম নিলে স্নান করতে হয়। এই বক্তব্যের পাল্টা দিগ্বিজয় বলেছেন, মামাজি আমার নাম নিতে চান না। তাহলে নাকি স্নান করতে হবে। কিন্তু সুনীল যোশীর হত্যা মামলায় সাধ্বী প্রজ্ঞাকে দু’বার জেলে পাঠিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। এখন তাঁর হয়ে প্রচার করতে নেমে কী রোজ স্নান করতে হচ্ছে? এদিন যজ্ঞের পর সাধ্বী প্রজ্ঞা সম্পর্কে কম্পিউটার বাবা বলেন, গেরুয়া ধারণ করলেই কেউ সাধ্বী হয়ে যায় না।