সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে এদিন বিকালে দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকায় যখন জমায়েত, ঐতিহাসিক রামলীলায় তখন মোদিকে দেখার জন্য জমছে ভিড়। বেলা দুটো থেকেই রামলীলায় ঢোকার জন্য লম্বা লাইন। দিল্লির ৪৩ ডিগ্রি গরমে পিপাসা মেটাতে রাখা হয়েছিল প্রায় দশ লক্ষ পানীয় জলের পাউচ প্যাক। মোদি মুখোশ পরা সমর্থকদের ভিড়ের পাশাপাশি রাম, সীতা, হনুমান সেজে হাজির বহুরূপীর দল। দিল্লি বিজেপির অঙ্কে রামলীলায় ভিড় হয়েছে প্রায় দু’লক্ষ লোকের।
মোদি-প্রিয়াঙ্কার কর্মসূচিতে প্রভাব পড়ল ট্রাফিকেও। লাগল জ্যাম। একইসঙ্গে একইদিনে এবং প্রায় একই সময়ে কর্মসূচি। তাই দিল্লি পুলিস নিরাপত্তার নজর বাড়িয়ে ছিল কয়েকগুণ। মোড়ে মোড়ে প্রহরা পুলিস, কেন্দ্রীয় বাহিনীর। দিল্লির সাত কেন্দ্রে আগামী ১২ মে ত্রিকোণ লড়াই। বিজেপি, কংগ্রেস, আপ। সাতটিতেই এখন বিজেপি এমপি। তাই পরীক্ষা এবার প্রিয়াঙ্কার। ঝাড়ু চালাতে চান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে দৌড়চ্ছে ইসমাইল। ছুটছে ইকবাল। সেলাই মেশিনের চাকা থামিয়ে হাঁ করে তাকিয়ে দেখছেন দর্জি আজম। আখের রস বিক্রেতা সামিম দোকান থেকেই মোবাইলে তুলছেন ছবি। তালা চাবির দোকানি ভূপেন্দ্র কাশ্যপ কাজ থামিয়ে মাথা তুলেছেন তাঁকে দেখতে। আর গলি নম্বর সাতে গৌতমপুরী মেইন রোডে ফ্যাশন ডিজাইনিং ইনস্টিটিউটের নীচে গাড়িটা পৌঁছতেই উড়ে এল গোলাপের পাপড়ি। রোড শোয়ে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সিলমপুর থেকে নুরেইলাহির ছবিরই প্রায় পুনরাবৃত্তি হল দক্ষিণ দিল্লির দক্ষিণ দাঁড়ি থেকে মেহরলির টিগরি রোডেও। ওখানে দলের প্রার্থী বক্সার বিজেন্দর সিং।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে শীলা দীক্ষিত। তিনিও হাজির রোড শোয়ে। পাশে প্রিয়াঙ্কার পুত্র ১৯ বছরের রেহান। আমেথিতে মামা রাহুল গান্ধীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকেই কংগ্রেসের কমর্সূচিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আজ ৮১ বছরের শীলা দাদিকে সামলানোর দায়িত্বও তাঁরই। তবে লোকের চোখ প্রিয়াঙ্কার দিকেই। সামনে থেকে তাঁকে দেখতে নিরাপত্তার বেড়া ভেঙে ঢুকে পড়ছেন সমর্থকরা। ছুঁড়ছেন ফুল। গোলাপ পাপড়ির সুবাস সুন্দর হলেও তারই মধ্যে দিয়ে যদি উড়ে আসে কোনও অস্ত্র, বিস্ফোরক? তাই প্রিয়াঙ্কার পিছনে থাকা এসপিজি টেবিল টেনিসের ব্যাটের মতো ঢাল দিয়ে আড়াল করছেন সোনিয়া তনয়ার মুখ, মাথা। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা অবিচল। তাঁর লক্ষ্য ভোট। তাই এসপিজিকে’ই ইশারা, হাত সরান। ওদের ফুল ছুঁড়তে দিন।