সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের এই মহাবৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকটি সঙ্গত প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। যেমন, বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে মূলত কোন কোন দলকে আহ্বান জানানো হবে ওই ‘মহাবৈঠকে’? বৈঠকের আহ্বায়কই বা কে? কারণ ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, বিজেপিকে ছাড়া পৃথক একটি ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ গঠনে লক্ষ্যে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। নাওয়া-খাওয়া ভুলে তিনি আলোচনা চালাচ্ছেন প্রতিটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে। তালিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকেও।
অবশ্য এখনও পর্যন্ত একমাত্র কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেই বৈঠক করতে পেরেছেন কেসিআর। ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন নির্বাচন পরবর্তী জোট গড়তে রাহুলের দলকে সমর্থনের কথাও ঘোষণা করে রেখেছেন। কেসিআর চাইলেও আপাতত ‘প্রচারে ব্যস্ত’ বলে বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন স্ট্যালিন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল সহ একাধিক আঞ্চলিক দলের সঙ্গেও কেসিআর আলোচনা করতে পারেন বলে তাঁর অফিস সূত্রে খবর। নির্বাচন পরবর্তী বিরোধী মহাজোট গঠনের প্রক্রিয়ায় তিনি খানিক বাগড়া দিতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাঁর কট্টর বিরোধী চন্দ্রবাবু নাইডুও একই প্রয়াস নিয়েছেন।
ফলত, দিল্লিতে ২১ মে’র ‘মহাবৈঠকে’ বিজেপি বিরোধী কোন কোন দল যোগ দেবে সে দিকেই আপাতত তাকিয়ে গোটা দেশ। তবে রাজনীতির সব সমীকরণই এখন নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপর। নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটের একটা মহড়া চললেও শেষ পর্যন্ত তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সঙ্গে আর দিল্লি, হরিয়ানা-পাঞ্জাবে আপের জোট হয়নি কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশেও যে বিরোধী জোট দানা বেঁধেছে তাতে শামিল হয়নি কংগ্রেস। বিরোধীদের এই ছন্নছাড়া দশাকে নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করতেও ছাড়েননি গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে মায়াবতী রাখঢাক না করেই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরার পরে আক্রমণ আরও জোরালো করছে বিজেপি। তাই বিরোধীরা এই ছন্নছাড়া পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে কি না, তা পরিস্কার হবে ২১ মে দিল্লির প্রস্তাবিত ‘মহাবৈঠকে’। বৈঠকে মায়াবতী-অখিলেশরা শামিল হন কি না সেটাও দেখার। ওই বৈঠকের সাফল্যর উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। ভোটে বিরোধীদের ফল ভালো হলে ভবিষ্যৎ সরকার ও তার প্রধান হিসেবে কে উঠে আসবেন, সে ব্যাপারে দিশাও পাওয়া যেতে পারে ওই বৈঠকে।