কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের তরফে একটি নির্দিষ্ট ব্যারাকের কয়েকজন বন্দিকে সংশোধনাগারের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। আর সেখান থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। তাদের রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই ভয় থেকেই পাথর ছুঁড়ে, একটি অস্থায়ী ছাউনিতে আগুন লাগিয়ে সংশোধনাগারের বাইরের দিকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে বন্দিরা। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ব্যারাকের মেরামতির জন্যই সেখানকার আবাসিক বন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে রাতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন ডিআইজি, এসএসপি শ্রীনগর, ডেপুটি পুলিস কমিশনার সহ শীর্ষ পুলিস আধিকারিকরা। আনা হয় সিআরপিএফের অতিরিক্ত বাহিনীও। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাতভর বন্দিদের নিরস্ত করা যায়নি। শুক্রবার পুলিসের মুখপাত্রের তরফে ঘটনাটিকে বন্দিদের জেল থেকে পালানোর চেষ্টা বলেই দাবি করা হয়েছে। সংশোধনাগারের পরিকাঠামো ও নজরদারি ব্যবস্থায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, রাত ৯টার সময় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা শাসক সহ অন্যান্যরা। লাউডস্পিকারে বারবার ঘোষণা করেও বন্দিদের শান্ত করা যায়নি। ক্যান্টিন থেকে গ্যাস সিলিন্ডার এনে প্রধান ফটক ও পাঁচিলের কাছে চারটি বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। সংশোধনাগারের ১০টি ব্যারাকের ৪০০-রও বেশি বন্দি ঢোকা-বেরনোর ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টা করছিল বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিন সকালে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সংশোধনাগারের ভিতরে প্রবেশ করেন পুলিসকর্মী ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। পরে ডিআইজি সেন্ট্রাল কাশ্মীর, ডিআইজি সিআরপিএফ, এসএসপি শ্রীনগর সহ শীর্ষ অফিসারদের উপস্থিতিতে বন্দিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রীনগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার শাহিদ ইকবাল চৌধুরী। বন্দিদের এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। সংশোধনাগারের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। ঘটনার পর থেকেই সংশোধনাগার সংলগ্ন ওল্ড সিটি এলাকায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শ্রীনগরের ইন্টারনেট পরিষেবাও।