কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সুমলতার ভোটে দাঁড়ানোর খবর আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই নিয়ে জোর প্রচার শুরু করে জেডিএস নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে নিখিল কুমারস্বামীর মূল লড়াই রাজনীতিতে পা রাখা এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেই। দলের বিধায়ক কেটি শ্রীকান্তগৌড়া এই নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘সুমলতা গৌড়াথি নন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।’তাঁর বিরুদ্ধে এহেন প্রচারে যথেষ্ট চাপে এই নির্দল প্রার্থী। প্রকাশ্যে সেকথা স্বীকারও করছেন তিনি।
রাজ্যে জোট ধর্ম বজায় রাখতে গিয়ে জেডিএসকে এই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। এখানেই হয়েছে সমস্যা। যার জেরে দলের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সুমলতাকে তলে তলে সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের একাংশ। পরিস্থিতি জটিল দেখে বিজেপিও ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিএস ইয়েদুয়েপ্পার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন সুমলতা। এরপরই বিজেপির তরফে তাঁকে নিঃশর্ত সমর্থনের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই অভিনেত্রীকে প্রার্থীকে দলে পেতে চেষ্টা চালিয়েছিল কংগ্রেস-জেডিএস উভয় দলই। নিজেই একথা জানিয়েছেন সুমলতা। তিনি যাতে নির্বাচনে না দাঁড়ান, তা নিশ্চিত করতে একাধিক টোপ দেওয়া হয়েছিল। মাণ্ড্য লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্দল প্রার্থীর কথায়, ‘কংগ্রেস আমাকে বেঙ্গালুরু থেকে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকী, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। অন্যদিকে, জেডিএস তাঁকে বিধান পরিষদের সদস্য করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু কোনও প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, আমার বিরুদ্ধে জাতের ইস্যুকে টেনে আনছে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর দল।’
এমনিতে, এই অভিনেত্রী প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম থেকেই বেশ ব্যাকফুটে জেডিএস। এরমধ্যে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ ও বিজেপি সমর্থন পাচ্ছেন সুমলতা। সেক্ষেত্রে তাঁর জয়ের পথ অত্যন্ত মসৃণ বলে খবর।
এই কেন্দ্রে জেডিএস হেরে গেলে শরিকদল কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের দূরত্ব আরও বাড়বে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। ফলস্বরূপ কোনওভাবে দু’দলের জোট ভাঙলে ফের সরকার গঠনের দিকে এগোতে পারবে বিজেপি। পাশাপাশি, এই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থীকে নিঃশর্ত সমর্থনের বার্তা দিয়ে, তাঁকেও নিজেদের দিকে কিছুটা টেনে নিতে গেরুয়া শিবির সক্ষম হল বলে মনে করা হচ্ছে।
কর্ণাটকের মাটিতে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বিপক্ষকে টেক্কা দিতে জাত-পাতের তাস খেলেছে জেডিএস। ২০১৩ সালে লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী রামাইয়ার বিরুদ্ধে এমনই প্রচার চালিয়েছিল তারা। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। পরের বছর লোকসভা নির্বাচনে এই নিয়ে প্রচার আরও জোরদার করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার দল। ফল মেলে হাতে নাতে। খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান রামাইয়া। এখন দেখার সুমলতার ক্ষেত্রে জাত-পাতের সেই কৌশল কাজে আসে কি না।
কেন্দ্র : মাণ্ড্য
২০১৪ সালের ভোটে জয়ী: সি এস পুত্তারাজু (জেডিএস)
মোট ভোটার – ১৬,৬৯,২৬২ (২০১৪-র হিসেব)
নির্বাচনের তারিখ – ১৮ এপ্রিল