কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সহ তিনজন বাদে সব নেতাই শুক্রবার শহরে চলে আসবেন। রাতে শহরে থেকে পরের দিন যোগ দেবেন ব্রিগেড সমাবেশে। ব্রিগেড সমাবেশের পর বিকেল চারটের সময় আলিপুরের সৌজন্য ভবনে চা চক্রের আসরে যোগ দেবেন জাতীয়স্তরের নেতারা। সেখানেই মোদি বিরোধিতার একটি রূপরেখা তৈরি হবে। অধিকাংশ নেতাই শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা ছাড়বেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী মিলিয়ে প্রায় ২০ জন জাতীয়স্তরের নেতা হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে। তবে কর্ণাটকে উদ্ভূত রাজনৈতিক ডামাডোলের জেরে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ব্রিগেড সমাবেশে একদিকে সর্বভারতীয় সব বিরোধী নেতার উপস্থিতি যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনই এই সভা নিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থক মহলেও বিপুল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। রাজ্য জুড়েই ব্রিগেডকে ঘিরে অসংখ্য মিছিল-মিটিং করেছেন তৃণমূলের ছোট, মাঝারি, বড় নেতারা। কার্যত রাজ্য চষে বেড়িয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ব্রিগেডের সভায় যোগ দিতে ট্রেনে করে কলকাতার দিকে যেমন রওনা দিয়েছেন অনেকে, তেমনই আবার বাস, ট্রাক আর ম্যাটাডরে চেপেও আসতে উৎসাহী সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। গাড়ি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নেতাদের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা ১২০০ বাস, ৮৯০টি লরি, ১৪০০ টাটা ৪০৭ এবং আড়াইশোটি সরকারি বাসের ব্যবস্থা করেছি। তবুও এখনও বাস সহ অন্য গাড়ি চাইছেন কর্মীরা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর থেকে বিপুল সংখ্যায় কর্মীদের ব্রিগেডমুখী করাই নেতৃত্বের প্রধান লক্ষ্য। ১৯৯২ সালের ২৫ নভেম্বর বামফ্রন্টের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই ব্রিগেড থেকেই বিজেপি’র মৃত্যুঘণ্টা বাজাতে চান তিনি। দেশে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রিগেড আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলা, হিন্দি ছাড়াও আরও পাঁচটি ভাষায় ট্যুইট করা হয়েছে।