কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
গত ১৫ বছর ধরে মহারাষ্ট্রে ডান্স বার তুলে দিতে সক্রিয় ছিল সরকার। ২০০৫ সালের পর থেকে নতুন করে কোনও ডান্স বারের লাইসেন্স দেয়নি এই রাজ্য। বক্তব্য ছিল, ডান্স বার থেকে অশালীনতা এবং পরোক্ষে দেহব্যবসাকে মদত দেওয়া হয়। কিন্তু রেস্তরাঁ এবং বার মালিকদের অভিযোগ ছিল, ডান্স বার নিষিদ্ধ করে যৌন ব্যবসায় মদত দেওয়া তো কমবেই না, উল্টে নর্তকীদের দেবব্যবসাতেই ঠেলে দেওয়া হবে। একটা সময় মহারাষ্ট্রে ৭০০ বারে অন্তত ৭৫ হাজার মহিলা কাজ করতেন। কিন্তু সরকার নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর তাঁরা কাজ হারিয়ে যৌন পেশায় নেমেছেন বলে বার মালিকরা আদালতে অভিযোগ করেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কিছু অবাস্তব নিয়ম নিষেধের ভিত্তিতে ডান্স বারের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির কোনও যৌক্তিকতা নেই। মহারাষ্ট্রে ডান্স বার বন্ধ করতে ২০০৫ সালে বম্বে পুলিস আইনে সংশোধনী এনেছিল মহারাষ্ট্রে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। তারপর থেকে কখনও বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা চলে। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালত ডান্স বার খোলার নির্দেশ দিলেও ২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘ডান্স বার নিয়ন্ত্রণ বিল’ পাশ করে মহারাষ্ট্র সরকার। ওই আইনে কোনও একটি নির্দিষ্ট স্থানে নাচ এবং মদ্যপান একসঙ্গে চলতে পারে না বলে জানানো হয়েছিল। আইন না মানলে ডান্স বার মালিকদের উপর বড় অঙ্কের জরিমানা করত রাজ্য সরকার। ফলে বাধ্য হয়েই মুম্বই সহ রাজ্যের বেশিরভাগ স্থানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশিরভাগ ডান্স বার। সরকারের এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বার, হোটেল এবং রেস্তরাঁর মালিকদের সংগঠন। এদিন শীর্ষ আদালতের রায় তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। খুশি হয়েছেন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরাও। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী রঞ্জিৎ পাতিল বলেন, ডান্স বার নিয়ে রাজ্য সরকারের একাধিক বিধিনিষেধ চাপানোর সঙ্গে শীর্ষ আদালত সহমত পোষণ করেছে। তবে ডান্স বারগুলিতে কোনও বেআইনি কাজ হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালাবে সরকার। অন্যদিকে ডান্স বার নিয়ে বিজেপি সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল এনসিপি।