কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ আলাপ্পাদ পঞ্চায়েত এলাকায় বালি ও খনিজ দ্রব্যের খনন ঔপনিবেশিক আমল থেকে চলে আসছে। কিন্তু, পরিবেশের তোয়াক্কা না করে যেভাবে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ উপায়ে এই এলাকায় খননকাজ চলেছে, তাতে বিপন্ন হয়েছে এলাকার ভৌগলিক মানচিত্র। এরই প্রতিবাদে গত ৭০ দিন ধরে রিলে অনশন চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এলাকাটি কোস্টাল রেগুলেশন জোনের (সিআরজেড) মধ্যে পড়ে। কিন্তু, সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ। আন্দোলনকারীদের অন্যতম সাজিশ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঠিক কোন কোন জায়গায় খনিজ দ্রব্য রয়েছে, তা নিয়ে সমীক্ষা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, সিআরজেড-এর বাইরেই রয়েছে যাবতীয় খনিজ সম্পদ। কিন্তু, এরপরও খনি সংস্থাগুলি সিআরজেড-এর ভিতরেই খননকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। খননকাজ বাড়তে বাড়তে এখন একটি জলাজমি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। যা খননকাজের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া ব্লকের সীমানার বাইরে রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা গ্রামীণ আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়েছি।’ আলাপ্পাদবাসীর আন্দোলনের সমর্থক পেশায় গবেষক নিধীশ বলেন, ‘সমুদ্রকে এগিয়ে আসা থেকে আটকাতে নির্মিত পুরনো প্রাচীরটি অনেক আগেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। এখন নতুন করে প্রাচীর তোলা হয়েছে। এখানে শুধু বেআইনি এলাকায় খননই নয়, অনুমোদিত মাপের বেশি গভীরেও খননকাজ চালানো হচ্ছে।
বর্তমানে এই অঞ্চলের যাবতীয় খননকাজের দায়িত্বে রয়েছে ইন্ডিয়া রেয়ার আর্থস লিমিটেড (আইআরই) এবং এবং কেরালা মিনারেলস অ্যান্ড মেটালস লিমিটেড নামে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা। আলাপ্পাদের গ্রামীণ আধিকারিক যে রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, যে অংশে আইআরই খননকাজ চালিয়েছে, সেই অংশে প্রায় ৮.৪৯ হেক্টর জমি সমুদ্রের গ্রাসে চলে গিয়েছে। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ মানতে চায়নি আইআরই কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল একটি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা। দেশের স্বার্থে কাজ করার আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমরা বিভিন্ন এলাকায় খননকাজ চালাই। কাজ শেষ হলে সেই খনি ভরাটও করে দিই। কয়েকটি এলাকায় এই ভরাট করার প্রক্রিয়াটি বাকি রয়েছে। ঠিক কী কারণে জমি হারিয়ে যাচ্ছে, তা বলতে পারব না। তবে, ওই এলাকাটি ভাঙনপ্রবণ বলে শুনেছি।’
স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক আর রামচন্দ্রন ইতিমধ্যেই এই সমস্যার জন্য বেআইনি খননকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং শিল্পমন্ত্রী ই পি জয়রাজনকে চিঠি দিয়েছেন। বিষয়টিতে অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। যদিও, কেরলের শিল্পমন্ত্রীর দাবি, এই প্রতিবাদ-আন্দোলনের নেপথ্যে স্থানীয়দের উসকানি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে খবর রয়েছে এই আন্দোলনের পিছনে একটা বড় চক্র রয়েছে। আমাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে। শীঘ্রই এলাকা পরিদর্শনে যাব।’