কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
কিন্তু সত্যিই কি মন্ত্র মেনে পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করেন স্বামী-স্ত্রী? ঠিকঠাক থাকে কি সব বোঝাপড়া, সব হিসেবে-নিকেশ? সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অবশ্য বলছে, অন্তত একে অপরের রোজগার ও সম্পত্তির জরিপ নিয়ে উদাসীনতা চরমে। স্বামীর কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, তার খোঁজই রাখেন না অন্তত ৯০ শতাংশ স্ত্রী। আবার স্ত্রীর রোজগারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কে কোথায় কত টাকা জমাচ্ছেন, বাজারে ধারদেনাই বা কত, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই অধিকাংশ দম্পতির।
শুধু মধ্যবিত্ত পরিবারেই নয়, বিয়ের অঙ্গীকার না মানার ‘সঙ্কট’ সমাজের সর্বস্তরেই। স্বামী-স্ত্রী’র আর্থিক হদিশ রাখার ব্যাপারে খামতি থেকে যাচ্ছে যথেষ্টই। তবে, এর জন্য স্বামী বা স্ত্রীকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এটি জীবন সঙ্গীর প্রতি নিছক উদাসীনতাও নয়। কারণ ৩৫ শতাংশ মানুষ বলছেন, তাঁরা কোথায় কত টাকা জমিয়ে রেখেছেন, সেই বিষয়ে তাঁরা নিজেরাই তেমন খোঁজ খবর রাখেন না।
‘মুদ্রা পোর্টফোলিও ম্যানেজার্স’ নামে একটি আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে। লকডাউনের সময় বা তার পর সাধারণ মানুষ নিজেদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল, তা জানাই ছিল সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের আগে পর্যন্ত বহু মানুষ তাঁদের আয় বা সঞ্চয়ের বিষয়ে আদৌ অবগত ছিলেন না। কিন্তু তাঁদের এখন টনক নড়েছে করোনার অভিঘাতে। কারণ সমীক্ষাটি বলছে, অন্তত ৬৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের আয়ের ২০ শতাংশ টাকাও জমাতে পারেন না। এদিকে, রোজগারের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ খরচ করেন কোনও নির্দিষ্ট ও রুটিন প্রয়োজন ছাড়াই। অর্থাৎ যে খরচ না করলেও হয়, রোজগারের এক পঞ্চমাংশ টাকা সেখানেই ব্যয় হয়ে যায়। তা হলে কাজ হারালে বা রোজগার চলে গেলে সংসার চলবে কতদিন? সমাজে যে ‘স্টেটাস’-এ থাকেন, সেই আর্থিক অবস্থা কত দিন ধরে রাখা সম্ভব?
এই দু’টি প্রশ্নকে ঘিরে একটি চমকপ্রদ তথ্যও উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায়। ৯০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে যে টাকা আছে, তা দিয়ে তাঁরা ছ’মাস ‘স্ট্যাটাস’ বজায় রেখে চালিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু রোজগার চলা কালীনই যদি কোনও কারণে কেউ মারা যান, তাহলে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীর কী হবে? ৫৪ শতাংশ মানুষ বলছেন, তাঁরা এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেননি। কারণ তাঁরা তাঁদের সম্পত্তি বা জমানো টাকার কোনও নমিনেশন করিয়ে রাখেননি। অর্থাৎ নমিনি করানোর বিষয়ে তাঁরা আদৌ আগ্রহী নন। ৭৯ শতাংশ মানুষ জানাচ্ছেন, তাঁদের নিজস্ব কোনও জীবন বিমা নেই। চাকরির ক্ষেত্রে যাঁরা কর্মদাতা সংস্থার তরফে যেটুকু বিমার সুবিধা পান, সেই টুকুতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। এর বাইরে নিজেদের বা পরিবারের জন্য তাঁরা আলাদা করে স্বাস্থ্য বিমা বা জীবন বিমা করানোর বিষয়ে উৎসাহী নন। এঁদের মধ্যে আবার ৭৫ শতাংশ ব্যক্তি জানেন না, তাঁদের জন্য কত টাকার বিমা পলিসি করিয়ে রেখেছে তাঁর কর্মদাতা সংস্থা।