কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
রাজ্য মন্ত্রিসভার দীর্ঘদিনের সদস্য তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা ভোটের মুখে নাম লিখিয়েছেন পদ্মশিবিরে। দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ‘অনাচার’ আর ‘অনিয়মের’। দুই মেদিনীপুর থেকে জোড়াফুলের পাঠ তুলে দেওয়ার পণ করেছেন সদ্য গেরুয়া চাপানো এই নেতা। অধিকারী পরিবারের আর এক সদস্য এখন দাদার হাত ধরে দলবদলু। প্রথমে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মাথা থেকে এবং পরে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, অধিকারী পরিবারের অভিভাবক প্রবীণ শিশিরবাবু এখনও ‘খাতায় কলমে’ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। অধিকারী পরিবারকে নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হওয়ার গোড়ার পর্ব থেকে প্রথমে পা এবং পরে চোখের অসুস্থতা নিয়ে বিড়ম্বনায় শিশিরবাবু। জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি সৌমেনবাবু তাঁকে নন্দীগ্রামের সভার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর আশীর্বাদও প্রার্থনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘উনি (শিশিরবাবু) আমাদেরও অভিভাবক, পথপ্রদর্শক। এত বড় সভার জন্য তাঁর আশীর্বাদ তো চাই।’ তবে শিশিরবাবু থাকবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। পরিবারের অপর সদস্য তমলুকের তৃণমূল এমপি দিব্যেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী ক্ষেত্র এই নন্দীগ্রাম। দিব্যেন্দুবাবু সভায় থাকবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তাও মেলেনি। এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমোর নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে যে পর্যায়ের উন্মাদনা আর উৎসাহ নিয়ে সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা কোমর বেঁধে আসরে নেমেছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রবিবারও সভার সমর্থনে কাঁথি শহরে বড়সড় মিছিল করেছে জোড়াফুল শিবির।
রাজনীতির এই জটিল আবর্তনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, তেখালির সভার পরই পূর্ব মেদিনীপুরে দলের জেলা কমিটিকে ‘অধিকারী প্রভাবমুক্ত’ করার কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে যাবে। তৃণমূলের লক্ষ্য এখন একটাই... একুশ।