মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
আগামী ১ আগস্ট থেকে ফের তাঁদের পঠনপাঠন চালু করা নিয়ে নির্দেশনামা দিয়েছে ফ্যাকাল্টি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা এ নিয়ে নিজেদের নানা সমস্যার কথা ফ্যাকাল্টি কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) সহ বিভিন্ন মহলে জানিয়েছেন। তার মধ্যে গণপরিবহণ এখনও সেভাবে চালু না হওয়ায় দূর-দূরান্তের কলেজে পৌঁছতে পারার সমস্যা, করোনা নিয়ে ছুঁৎমার্গের জন্য মেসে থাকার অসুবিধা, মাস্ক, পিপিই নিয়ে সমস্যা ইত্যাদি নানা বিষয় রয়েছে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় ছ’জন চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্যভবনের ৬০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ জনের ফল পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্যসাথী এবং মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন মিলিয়ে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি’র সেক্রেটারি দিলীপকুমার ঘোষ বলেন, ১ আগস্ট অনেক দেরি আছে। ফলে এখন থেকেই এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্যারামেডিক্যাল কাউন্সিলের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বিষয়টির দিকে তাঁরাও লক্ষ্য রাখছেন।
এদিকে করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসার পরও কোয়ারেন্টাইনে না পাঠিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এসইউসি সমর্থিত ডাক্তার সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম। তাদের বক্তব্য, পিজি, আর জি কর, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল ও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের বেশ কিছু বিভাগে এমন ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নন করোনা চিকিৎসা চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে এদিনও হাসপাতাল পরিদর্শনে আসে স্বাস্থ্যভবনের টিম। কিন্তু রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি বলে খবর। সমস্ত ধরনের পরিষেবা চালুর দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে এদিনও। পাশাপাশি রাজ্যের করোনা রোগীদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণেই যাতে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেজন্য নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য। হাওড়া, উলুবেড়িয়া এবং বারাকপুরের তিনটি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসায় যাতে অসুবিধা না-হয়, সেজন্য তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে দুটি টিম তৈরি করল রাজ্য। তাতে সুগার, হার্ট ও কিডনির ডাক্তাররা আছেন।