মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
চলতি বছরের শুরুতেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয়। ফলে গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। তার ঠিক আগে যে ‘রোপা ২০১৯’ প্রকাশিত হয়, তাতেই জুলাই মাসে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির কথা বলা আছে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে। এখন যে নিয়ম চালু রয়েছে, তাতে ‘ইনক্রিমেন্টে’র জন্য অর্থদপ্তর নতুন করে কোনও নির্দেশ জারি করে না। কাজেই এবার বেতন বৃদ্ধি না হওয়ার কোনও নির্দেশ এখনও জারি না হওয়ায়, প্রক্রিয়াটি বহাল থাকছে বলেই নিশ্চিত করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।
এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী মূল মাইনে বাড়লে তার সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি ভাতাও বৃদ্ধি পায়। বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ায় এখন সরকারি কর্মীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নেই। তাই ‘ইনক্রিমেন্ট’ হলেও ডিএ বাড়ার প্রশ্ন নেই। কিন্তু মূল বেতনের উপর ১২ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বা এইচআরএ রয়েছে। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির ফলে এই খাতে প্রাপ্য টাকার পরিমাণ বাড়বে। যদিও এই ভাতার সর্বোচ্চ সীমা ১২ হাজার টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে কর্মরত হলে, তাঁদের এইচআরএ মোট হিসেবে দেখা হয়। জুলাই মাসে ‘ইনক্রিমেন্টে’র আগে সেই সব হিসেব নতুন করে দেখার কাজ শুরু হয়েছে বিভিন্ন অফিসে।
বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ বাজেটে ধার্য করা হয়। চলতি আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেটেও এই খাতে ৫২ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
বাম আমলে সরকারি কর্মীদের বার্ষিক ‘ইনক্রিমেন্টে’র ব্যবস্থা জটিল ছিল। প্রত্যেক কর্মীর জন্য পৃথক নির্দেশ জারি হতো। তাতে অর্থ ও সময়ের অপচয়ের অভিযোগে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়। ২০১১ সালের জুন মাসে এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থদপ্তর। এখন অফিসের ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার (ডিডিও) জুলাই মাসে ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেই বেতনের বিল অনুমোদনের জন্য ট্রেজারিতে পাঠিয়ে দেন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাঁদের বেতন বৃদ্ধি বন্ধ, তাঁরা ছাড়া প্রত্যেকে ইনক্রিমেন্ট পান। সাধারণত ১৫ তারিখের পর বেতনের বিল তৈরি করে অফিস পাঠানো শুরু করে।
লকডাউনের জেরে গত তিন মাস রাজ্য সরকারের নিজস্ব আয় ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। একই কারণে অন্যান্য রাজ্যে সরকারি কর্মীদের বেতনে কোপ পড়েছে। কিন্তু বাংলায় তা হতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরোমাত্রায় লকডাউন চলার সময়ও নির্ধারিত দিনে বেতন পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা। অফিস থেকে অনলাইনে বেতনের বিল পাঠানো হয়েছে ট্রেজারিতে। তা পাশ হওয়ার পর সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে টাকা। লকডাউন পর্বেই সরকারি কর্মীদের জন্য বর্ধিত হারে উৎসব বোনাস ও অগ্ৰিম বেতন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঈদের আগে তা পেয়েও গিয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মচারীরা।