বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। নবান্নের সঙ্গে নিয়ম করে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। নিজের মতো করে ফোনে কথা বলতে শুরু করেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনতা কার্ফু এবং লকডাউনের ডাক যেন এরাজ্যে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে মানুষ, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। আর তা করতে গিয়েই ধনকার যুযুধান সব পক্ষকে আপাতত বিতর্ক শিকেয় তুলে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দেন। একদিকে, শাসকদলের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করেন, তেমনই বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতো বিপক্ষের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। কমবেশি সকলের কাছেই তাঁর আর্জি, এখন কোনওভাবেই রাজনীতির মারপ্যাঁচে যাবেন না। রাজনীতি করার অনেক সময় পাবেন। সবাই মিলে হাতে হাত ধরে রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করাই একমাত্র ব্রত হওয়া উচিত। রাজ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ধনকার। সেই আলোচনাতেই মমতা রাজ্যে পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট এবং পিপিই না পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন রাজ্যপাল। তারপর রাজ্যে বেশ কয়েক হাজার কিট কেন্দ্র থেকে আসে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে খেদ রয়েছে রাজ্যপালের।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অযথা রাজনীতি না করার আর্জি জানিয়ে রাজ্যপালের ফোন পাওয়ার কথা মেনেছেন মান্নান-সুজনরা। তাঁরা বলেন, আমরা ওঁকে কথা দিয়েছি, সরকারপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। কারণ, এটা বাংলার ঐতিহ্য। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এই ধরনের দেশব্যাপী সঙ্কটের সময় আমরা কখনও রাজনীতি করি না বা করতে চাই না। তবে শাসকদল ত্রাণ বিলির নামে যে নিম্নরুচির রাজনীতি করছে, সেটা নজরে রাখা দরকার। ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে দলের পতাকা, নেত্রীর ছবি বা লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। এই কুরুচিকর রাজনীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন তাঁরা।