বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে খবর, ২২ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি ক্ষেত্রে এবং খোলা বাজারে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি স্যানিটাইজাররের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই সংখ্যাটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পরিবেশ, কৃষি বিপণন সহ একাধিক সরকারি দপ্তরকে স্যানিটাইজারের জোগান দিচ্ছে সিএডিসি। পাশাপাশি, সুফল বাংলা, মাদার ডেয়ারি এবং পঞ্চায়েত দপ্তরেও এই স্যানিটাইজার ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং সংস্থা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার স্যানিটাইজার বিক্রি করেছে পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্থ এই সংস্থা। পাশাপাশি, চারটি ভেন্ডিং গাড়িতে সল্টলেক, উল্টোডাঙ্গা, রাজারহাটের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির পাশাপাশি ১৭টি ফ্রাঞ্চাইজি মারফত খোলাবাজারেও প্রায় ছ’ হাজার স্যানিটাইজার বিক্রি হয়েছে। সেই বিক্রি বাবদ প্রায় ছ’লক্ষ টাকা সংস্থার ঘরে ঢুকেছে। এই সংস্থার অধীনে প্রায় ১৫০-২০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্যানিটাইজার তৈরি করছে। মূলত, তিন রকমের স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে। গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা এবং ভেষজ। দপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখান থেকে ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করে যে কেউ এই স্যানিটাইজার কিনতে পারেন। দামও নিতান্ত কম। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০০ মিলিলিটারের দাম ৭৫ টাকা, ৬০ মিলিলিটারের দাম ৪৫ টাকা এবং ৩০ মিলিলিটারের এর দাম ৩০ টাকা রাখা হয়েছে। দপ্তরের যুগ্মসচিব সৌম্যজিৎ দাস জানিয়েছেন, হঠাৎ স্যানিটাইজারের আকাল দেখা দিয়েছিল। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে স্যানিটাইজার তৈরির দায়িত্ব দিই। দাম নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে। অনেকেই ভাবতে পারেন, এত কম দামে কি ভালো স্যানিটাইজার পাওয়া সম্ভব? হলফ করে বলতে পারি, ঘরে বসে গ্রামবাংলার মা-বোনেদের হাতে তৈরি এই স্যানিটাইজার যে কোনও বড় কোম্পানির সঙ্গে সমগোত্রীয়। নিয়ম মেনে তৈরি করছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিবাচক ফিডব্যাকই আমরা পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে বাজারে কার্যত আকাল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দেখা দিয়েছিল। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সরকারের তরফে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারমধ্যে পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্থ এই সংস্থা নিজেদের মতো করে স্যানিটাইজার তৈরি করে চলেছে।