কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সারদা তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সুদীপ্তর সংস্থা থেকে উধাও হয়ে যাওয়া টাকা কোথায় গিয়েছে, তা পুরোপুরি জানা যায়নি। মানি রুট ও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রভাবশালী যোগের তত্ত্ব উঠে এলেও তাঁরা কীভাবে উপকৃত হয়েছেন, সেই নথি বিশ্লেষণের কাজ মাঝপথে। তাতে নতুন করে আরও কিছু নাম উঠে আসছে বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে ফাইনাল চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হয়নি এখনও। বারবার পিছতে হচ্ছে এর তারিখ। দিল্লি ফাইনাল চার্জশিটের খসড়া চেয়ে পাঠিয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা দেওয়া যায়নি। ফাইনাল চার্জশিট জমা পড়লেই জানা সম্ভব হবে, কোন কোন প্রভাবশালীর নাম তাতে রাখা হল। যে কারণেই তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাঁচ বছরের বেশি সময় তদন্ত চালানোর পরও কেন তা দেওয়া যাচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
রোজভ্যালির তদন্তে একই বিষয় দেখছে সিবিআই। এক্ষেত্রে গৌতম কুণ্ডুর স্বর্ণ বিপণী সংস্থা থেকে টাকা পাচারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। রোজভ্যালি মামলার পুরনো তদন্তকারী অফিসাররা টাকা পাচারের সূত্র খুঁজতে একে একে বিভিন্ন জনকে জেরা করতেও শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে নবান্ন থেকেও বিভিন্ন নথি সরকারিভাবে জানতে চাওয়া হচ্ছিল। এর মাঝেই বদলি করে দেওয়া হয়েছে সারদা ও রোজভ্যালি মামলার তদন্তকারী অফিসারদের। দুই মামলাই যখন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই সময়ে তাঁদের বদলি ঘিরে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর বদলির আদেশ আসার পরই নতুন জায়গায় যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিসাররা। কোনও ফাইলই আর দেখছেন না। যে সমস্ত মামলার শুনানি চলছে, তার দিন রয়েছে আদালতে। তদন্তকারী অফিসাররাই সরকারি আইনজীবীদের বিভিন্ন তথ্য পাঠাতেন। এখন আইও না থাকায় আদালতে মামলার কী অবস্থা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত আইনজীবীরাই।
এদিকে, পুরনো তদন্তকারী অফিসারদের বদলি করা হলেও, তাঁদের জায়গায় দায়িত্ব কারা পাচ্ছেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এই নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে দিল্লির সিবিআই দপ্তরে। একাধিক নাম উঠে এসেছে আলোচনায়। তারপরেও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, তাঁরা এমন অফিসারদের নিয়োগ করতে চাইছেন, যাঁদের চিটফান্ডের মতো কেলেঙ্কারির তদন্ত করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু সেই ধরনের অফিসার খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা দিল্লির কর্তাদের। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে বাছাই করা হয়েছে, যাঁদের হাইপ্রোফাইল মামলার তদন্ত করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু অফিসার খুঁজতে গিয়ে যদি এত সময় লেগে যায়, তাহলে মূল মামলার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা ভেবেই চিন্তিত বিশেজ্ঞরা। যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দ্রুত তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডেটলাইনও ঠিক করে ফেলেছে তারা।