কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের পর জানা গিয়েছিল, জেএমবি কীভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে। খুলেছিল বিস্ফোরক তৈরির কারখানা। সেখানে তৈরি হতো হ্যান্ড গ্রেনেড। যা বাংলাদেশেও সরবরাহ হতো। এখানে যারা জেএমবি’র মাথা, তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে সংগঠনের বাংলাদেশ শাখার শীর্ষ নেতাদের। ওই ঘটনার পর ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলে এখানে ক্রমশ শক্তি হারায় জেএমবি। ঘাঁটি গাড়ে দক্ষিণ ভারতে। কিন্তু সেখান থেকেও এনআইএ একের পর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করায় তাদের সাংগঠনিক জোর অনেকটাই কমেছে।
ইদানীং উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে রাতের দিকে আনাগোনা বেড়েছে বহিরাগতদের। গোরু বা সোনা পাচারকারীদের সঙ্গে এই তিন জেলার যুবকরা বরিশাল ও খুলনায় যাচ্ছে জেএমবি শিবিরে যোগ দিতে। সম্প্রতি জলঙ্গি ও রানিনগর দিয়ে গোরুপাচার বেড়েছে। যে কারণে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের যাতায়াত সহজ হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যের যারা বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে, তাদের জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, কাঁটাতার থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে জঙ্গি শিবির খুলেছে জেএমবি। রাজশাহীর সাহাপুরে তারা মিলিত হচ্ছে। সীমান্তের ওপারে বিস্তীর্ণ ফাঁকা জমি পেরিয়ে সাহাপুরে যাওয়া যায়। সেখানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজেবি)’র নজরদারি না থাকায় ওই এলাকাকে শিবিরের জন্য বেছে নিয়েছে তারা। চলছে জেহাদি শিক্ষা। এছাড়াও প্রশিক্ষণ চলছে খুলনার ডুমুরিয়া ও বোটিয়াঘাটায়। সেখানে হাজির থাকছে জেএমবির শীর্ষ নেতারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, দুটি খারিজি মাদ্রাসায় (অনুমোদনহীন মাদ্রাসা) বিস্ফোরক তৈরি শেখানো হচ্ছে। প্রশিক্ষক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে শরীরে বোমা বেঁধে ব্যস্ত বাজার, সভাস্থল, ভিভিআইপিদের মঞ্চে উঠে আত্মঘাতী হামলা চালাতে হবে, সেইসবই শেখানো হচ্ছে। সঙ্গে চলছে অস্ত্র চালনা ও অন্যান্য বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেনেছেন, যারা সদ্য দলে নাম লিখিয়েছে, সেই উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের যুবকরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। জেএমবি’র লক্ষ্য, দ্রুত একটি ব্যাচ তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো। এসব নিয়েই শুরু হয়েছে খোঁজখবর।