কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
একইসঙ্গে বাংলায় গত কয়েকটি ভোটের ‘হট ইস্যু’ চিটফান্ড বিতর্ককেও উস্কে দিয়ে শিলিগুড়ির সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিবের টাকা দিদির নেতা-মন্ত্রীরা লুট করেছে। দিদি চান না গরিবি শেষ হয়ে যাক। কারণ, তিনি গরিবদের নিয়ে রাজনীতি করেন। সে জন্যই গরিবদের উন্নয়নের পথে উনি ব্রেক লাগিয়ে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ, বাংলার ৭০ লক্ষ কৃষক পরিবারের বিকাশের উপরও ব্রেক লাগানো হয়েছে। গোটা দেশে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হলেও তাতে ব্রেক লাগানো রয়েছে। অন্যদিকে, ব্রিগেডের জনসভায় মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোদির বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেকেই দেশের বিরোধিতা করছেন। দর্শকদের তাঁর প্রশ্ন, বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ কে চেয়েছেন? জঙ্গিদের লাশ কে দেখতে চেয়েছেন? মিশন শক্তির মতো ঐতিহাসিক ঘটনাকে কে নাটক বলেছেন? পুলওয়ামাকাণ্ডে নিহত সুদীপ বিশ্বাস-বাবলু সাঁতরাকে কে অপমান করেছেন? মোদির এই প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে দিদি দিদি ধ্বনি শুরু হয়ে যায়।
এদিন শিলিগুড়ি এবং ব্রিগেডের সভায় জনসমাগম দেখে দৃশ্যতই আপ্লুত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরের ভিড় প্রসঙ্গে মোদির দাবি, আপনাদের এই উৎসাহ দেখে আমার বিশ্বাস, দিদির নৌকা ডুবতে চলেছে। ‘কামাল কর দিয়া আপনে’ বলে তিনি আরও বলেন, জনতার এই উৎসাহ দিদি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। যা দিদির ঘুম ছুটিয়ে দেবে। ব্রিগেডের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলায় মোদি বলেন, আপনারা কেমন আছেন? মা কালীর আশীর্বাদ নিয়ে আজ আপনাদের সামনে এসেছি। ময়দানের এই সভায় আপনাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। বঙ্গভূমিতে ওঠা এই জনস্রোত দেশের রাজনৈতিক পণ্ডিতদের আগামী ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।