কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সমর্থকদের মন না ভরার একটা কারণ যদি হয় এই বিষয়বস্তুগত, তবে আরেকটি কারণ অবশ্যই প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগত। মাঠের অনেকটা অংশ জুড়ে মাথার উপর হ্যাঙ্গারের ছাউনি থাকায় মূল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী সহ বক্তাদের কিছুটা দূর থেকে দেখাই যাচ্ছিল না। তার মধ্যে দু’টি বড় ছাউনির মধ্যে লাগানো এলইডি স্ক্রিনগুলিও কাজ করেনি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময়। ফলে সভামঞ্চের পিছনে থাকা বহু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হওয়া মাত্র বাড়িমুখো হয়ে যান। এলইডি স্ক্রিন কেন চলছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও দেখান বহু বিজেপি সমর্থক। এক সমর্থক বলছিলেন, এগুলি যদি চলবেই না, তাহলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে লাগালো হল কেন?
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে এভাবে একপ্রকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও এদিন বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। অরিত্র দাস, বাপ্পাদিত্য রুদ্র, সুরজিৎ দাস বয়সে তরুণ। তিনজনই নিজস্ব ব্যবসা ছাড়াও আরএসএস নিয়ন্ত্রণাধীনে গো-সেবা সহ নানা কাজ করে থাকেন। এঁদের মধ্যে পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজার অরিত্রর ডিজাইন করা ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ লেখা টি-শার্ট বিকোল হু হু করে। দু’ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে ২০০টি টি-শার্ট। ‘আপনা মোদি আয়েগা’, ‘নমো এগেইন’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা টি-শার্টের চাহিদাও তুঙ্গে বলে জানালেন অরিত্র। কাঁকিনাড়া থেকে কাঠি আইসক্রিমের পেটি নিয়ে ব্রিগেড মাঠে এসেছিলেন বিক্রেতা অরিজিৎ সাউ। তিনি বলেন, আমি ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে দু’হাজার টাকার আইসক্রিম বিক্রি করেছি। নিজেও বিজেপি’র সমর্থক অরিজিৎবাবু। তিনি বলেন, মোদিজির মিটিংয়ে এমনিতেও আসতাম। একটু আগে আসায় সওদাও ভালো হল। এরকমই টুকরো টুকরো নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার খণ্ডচিত্রের খামতি ছিল না বুধবারের ব্রিগেডে। আরও চোখে পড়ার মতো যা দেখা গিয়েছে, তা হল এদিনের সমাবেশে কমবয়সি, তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি। যুবসমাজের এই সাড়া বঙ্গ বিজেপি’র নেতাদের কিছুটা হলেও অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।