কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে গোটা দেশে ৫.৮ শতাংশ স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষক রয়েছেন। অন্যদিকে, উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলির মধ্যে সেই হার ৩০.৮ শতাংশ। রাজ্যের কী অবস্থা? এখানে মাত্র ২.৮ শতাংশ স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষক রয়েছেন। যা গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে হিমাচল প্রদেশেও একই অবস্থা। বাকি সব রাজ্যেই এই হার বেশি। রাজস্থানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুলে এই বিষয়ের শিক্ষক রয়েছেন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। ওই রাজ্যে ৫১.৫ শতাংশ স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষক রয়েছেন। তারপরই রয়েছে কেরল (৩৮.৫ শতাংশ)।
তবে শিক্ষক সঙ্কট থাকলেও, শরীরচর্চা বা খেলাধুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকার নিরিখে কিছুটা ভালো জায়গাতেই রয়েছে এরাজ্যের স্কুলগুলি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬২.৭ শতাংশ স্কুলে খেলাধুলোর জন্য আলাদা পিরিয়ড রয়েছে। এই বিভাগে মহারাষ্ট্র শীর্ষে। ওই রাজ্যে ৯২ শতাংশ স্কুলে এমন ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ভারতেরই দুই রাজ্য, কেরল (৮২.৮ শতাংশ) এবং তামিলনাড়ু (৮২.২ শতাংশ)। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, দেশের মধ্যে প্রাথমিকের চেয়ে উচ্চ প্রাথমিকে পরিস্থিতি ভালো। প্রাথমিকে যেখানে ৫৮.৪ শতাংশ স্কুলে শারীরশিক্ষার জন্য পৃথক সময় দেওয়া হয়, সেখানে উচ্চ প্রাথমিকে সেই হার ৬৯.১ শতাংশ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, রাজ্যের ৫৪.৩ শতাংশ স্কুলে অন্তত একটি খেলার সরঞ্জাম রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ, খেলার মাঠ রয়েছে মাত্র ৫৩ শতাংশ স্কুলে। অর্থাৎ, ৪৭ শতাংশ স্কুলে পড়ুয়ারা খেলাধুলোর জন্য কোনও মাঠ পায় না। শিক্ষকমহলের মতে, এই অবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শহরাঞ্চল স্কুলগুলিতেই দেখা যায়। শুধু ক্লাসঘর দিয়ে একটি ভবন রয়েছে। গা ঘামানোর জন্য সেই কংক্রিটের বারান্দা বা হলঘরই ভরসা। ইন্ডোর গেমস দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হয় সেই সব স্কুলকে। জাতীয়স্তরে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে খেলার মাঠ রয়েছে যথাক্রমে ৬৫ এবং ৭০.৩ শতাংশের। ফলে জাতীয় গড়ের অনেকটাই নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মহারাষ্ট্রে ৮৭ শতাংশ স্কুলে খেলার মাঠ আছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এ নিয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারের বক্তব্য, শিক্ষক ঘাটতি থাকলেও, তা শীঘ্রই মিটে যাবে। কারণ নিয়োগ হচ্ছে এবং তা শেষ হবে শীঘ্রই। তাছাড়া প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শারীরশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে এই বিষয়টি অবহেলিত বা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তা ঠিক নয়। পাশাপাশি, নবম-দশম শ্রেণীতে আরও একটি বিষয় চলে এলে তা পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে কি না, বা তা কতটা গ্রহণীয় হবে, সেসব পর্যালোচনা করা হচ্ছে।