শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বারাকপুর ১৫ নম্বর রেলগেটের উপর দিয়ে যে ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে, তার দু’পাশে শাসকদল ও বিরোধীদের প্রচুর হোর্ডিং ছিল। মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্তদপ্তরের আধিকারিকরা ম্যাটাডোর নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সবার হোর্ডিং খোলা হয়। বারাকপুর-বারাসত রোডের একাধিক এলাকাতেও সোমবার পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে এই অভিযান চলেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। সেদিন বিকেল থেকেই নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত সমিতি সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়া হোর্ডিং ছিল। সেগুলি ২৬ তারিখ সন্ধ্যা থেকেই সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সমস্ত বিডিওদের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে সরকারি জায়গায় রাজনৈতিক হোর্ডিং খোলার কাজও শুরু হল। তবে, বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত রাস্তার ধারে সরকারি জায়গায় এখনও প্রচুর হোর্ডিং রয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এই অভিযান লাগাতার চলবে। এলাকায় নজরদারি চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, ফ্লাইওভারে কিছু হোর্ডিং আমাদের ছিল। সেটা প্রশাসন খুলেছে। আমি এদিন পুরসভার অন্তর্গত সমস্ত নেতাকে জানিয়ে দিয়েছি, সরকারি জায়গায় কোনও হোর্ডিং থাকলে তাঁরা যেন খুলে নেন। আমাদের কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই হোর্ডিং খোলার কাজ শুরু করে দেবেন। আমরা প্রশাসনকে সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত। বিজেপি নেতা তথা নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং বলেন, বারাকপুর ফ্লাইওভারে আমাদের কিছু হোর্ডিং ছিল। তবে সেগুলি খোলা হচ্ছে, এই খবর পাওয়ার পর আমি নিজে ঘোষপাড়ার রোডের একাধিক জায়গায় ঘুরেছি। যেখানে যেখানে সরকারি জায়গায় আমাদের হোর্ডিং পেয়েছি, সেগুলি খুলে দিয়েছি। আরও যেখানে যা থাকবে, আমরা নিজেরাই খুলে দেব।