কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নাজমা বিবি। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে সোমবার রাতে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। গভীর রাতে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই বধূ একটি কন্যাসন্তানের জন্মও দেন। কিন্তু, তারপর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু, কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর মৃতদেহ মাটিয়ার ওই নার্সিংহোমেই ফিরিয়ে নিয়ে এসে পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয়রা তীব্র ক্ষোভে আছড়ে পড়েন। তাঁরা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনও সঙ্গে সঙ্গে জড়ো হয়ে যান। তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কিছুক্ষণ পরই উত্তেজিত জনতা ওই নার্সিংহোমের বাইরের মেন গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অপারেশন বা সিজার করতে গেলে যে যে পরিকাঠামো থাকা দরকার, ওই নার্সিংহোমে সেই সমস্ত পরিকাঠামো নেই। ফলে, চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। এমনকী, ডিগ্রিধারী অ্যানাসথেসিস্ট নেই বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। যে চিকিৎসক সিজার করেছেন, বিক্ষোভকারীরা তাঁর ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও এ ব্যাপারে এক পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক এমবিবিএস। তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বরও রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। মৃতার বাবা রফিকুল মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিজার করতে গিয়েই শ্বাসকষ্ট হয়। চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে। আমরা চাই এর বিচার হোক।