কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
রাতেই বাস মালিকদের সঙ্গে পুলিসের কর্তারা বৈঠকে বসেন। কেননা, মঙ্গলবার থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া বাস পার্কিং করা যাবে না। সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে রাস্তার ধারে বাস রাখতে হবে। একই সঙ্গে পুলিসও বাসগুলির বিরুদ্ধে অহেতুক কেস দেবে না। এই আলোচনার পর এদিন সকাল থেকেই সমস্ত রুটের বাস পরিষেবা চালু হয়ে যায়। মালিকরা বলেছেন, হাওড়া ময়দানে বাস রাখার কোনও জায়গা নেই। জায়গা দেওয়ার জন্য আমরা পুলিস ও পুরসভার কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু, এখনও জায়গা পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই সমস্যা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার হাওড়া ময়দানে একটি বাস রাস্তার ধারে দাঁড়ায়। এরপর বাসের চালক ও খালাসি বাস থেকে নেমে টয়লেটে যান। তখন ট্রাফিক পুলিস ওই বাসের বিরুদ্ধে কেস দেন। এই নিয়েই বাসের চালক ও খালাসির সঙ্গে ওই ট্রাফিক পুলিসের বচসা বাধে। তখন চালককে ওই ট্রাফিক পুলিস মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপরই হাওড়া ময়দান থেকে সমস্ত রুটের বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হঠাৎ করে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই হাওড়া ময়দানে বাসগুলি কোনও নিয়ম না মেনেই রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে রাখে। তার ফলে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। তার উপর এইভাবে হঠাৎ করে বাস বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েন।
বিষয়টি শাসকদলের নেতাদের কানেও যাওয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিনের এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যায় নেতৃত্ব। তাঁরাও বাস পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মালিকপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান। এরপর রাতেই পুলিসের সঙ্গে বাস মালিকরা বৈঠকে বসেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাস পার্কিংয়ের স্থায়ী সমাধানের জন্য পুরসভার সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করা হবে। এরপরই বাস পরিষেবা চালু করা হয়।