কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু) মেহেফুজ আলম বলেন, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের আলুবীজের উপর মূলত আমাদের রাজ্যের আলুচাষিরা নির্ভরশীল। তবে আমাদের জেলাতেই এবছর রাজ্যে প্রথম টেম্পোরারি নেট হাউসের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে আলুবীজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খুবই ভালো মানের বীজ তৈরি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আলু গবেষণা কেন্দ্র ও ভারতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে সুস্থ আলুবীজ তৈরির উপকরণ ও সহায়তা পাওয়া গিয়েছে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালবাজারের গজলডোবা সবুজ ফারমার্স ক্লাব, খড়িবাড়ির ময়নাগুড়ি কৃষি উন্নয়ন ফারমার্স ক্লাব, রাজগঞ্জের টাকিমারির মিলনপল্লি ফারমার্স ক্লাবকে সরকারি সহায়তা দিয়ে চাষিদের আলুবীজ তৈরি হাতে কলমে শেখানো হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্লাব ২৪০০ বর্গমিটার জমিতে আলুবীজ লাগিয়েছে। তবে এখানে প্রত্যেকটি বীজতলায় বাঁশের কাঠামো তৈরি করে মশারি ব্যবহার করা হয়েছে। অস্থায়ী ওই কাঠামো তৈরির উদ্দেশ্য হল শোষক পোকা, জাবপোকা, সাদামাছি অসুস্থ গাছের ভাইরাস নিয়ে গিয়ে যাতে সুস্থ গাছকে আক্রান্ত করতে না পারে। এবছর পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ছয় বিঘা জমিতে আলুবীজ উৎপাদন হলেও আগামী বছর ৩৬ বিঘা জমিতে আলুবীজ উৎপাদন করা যাবে।
দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এখানে মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে আলু বীজ এনে চাষিরা আলু চাষ করেন। প্রতি কেজি আলুবীজ চাষিদের ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়। অনেক সময় ভিনরাজ্যের দামি আলুবীজ থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়ে। রোগমুক্ত আলুবীজ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের উপর নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় আলু গবেষণা কেন্দ্র। আগামী বছর অসমেও এধরনের আলুবীজ তৈরির কাজ শুরু হবে।
জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা মেহেফুজ সাহেব বলেন, আমাদের জেলায় বছরের পর বছর নিজস্ব উদ্যোগে চাষিরা আলুবীজ তৈরি করে ধীরে ধীরে ভিনরাজের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনবেন। চাষিরাও অপেক্ষাকৃত কম দামে সুস্থ আলুবীজ পেয়ে যাবেন। বীজআলু হিমঘরেই মজুত করা হবে। তবে সেটা খাবারের আলুতে যে তাপমাত্রা থাকে তার তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম তাপমাত্রায় আলুবীজ রাখা দরকার। সেভাবেই এবারের উৎপাদিত আলুবীজ মজুত করা হবে। জলপাইগুড়ি কৃষি জেলার অধীন আলুবীজ উৎপাদন দেখাতে এবারে রাজ্যের বিভিন্ন ফারমার্স ক্লাবের সদস্যদের এনে পরীক্ষামূলক আলুবীজ তৈরি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও দেশের বড় বড় কৃষি বিজ্ঞানীরা এখানে এসে সবকিছু দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের ধারণা, কয়েক বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আলুবীজ চাষিরা সস্তায় পাওয়ার পাশাপাশি নীরোগ আলু বীজও তৈরি করতে পারবেন।