কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
উদ্যানপালন দপ্তরের ইসলামপুর মহকুমার আধিকারিক সোনালি দে বলেন, চোপড়া ব্লকের ১৮ জন চাষিকে ক্যাপসিকাম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা দপ্তরের পক্ষে থেকে এবারই প্রথম ওই ব্লকে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এবার ২০ বিঘা জমিতে চাষের লক্ষ্য নিয়েছি। এজন্য চাষিদের প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খেত দেখে পরামর্শও দেওয়া হবে।
চোপড়ার সোনাপুরের চাষি নীরেন সিংহ বলেন, উদ্যানপালন দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল ৪০০০ টাকার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে যাতে বিল জমা করা হয়। আমরা নিমখোল, অনুখাদ্য সহ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার ও বীজ কিনেছি। ওসব সামগ্রীর বিল উদ্যানপালন দপ্তরে জমা করার পর সেখান থেকে সকলকে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দপ্তর থেকে পলিথিনের মাচা দিয়ে দিয়ে চাষ করতে বলেছিল। চাষিরা পলিথিনের মাচার ব্যবস্থা করছেন। ক্যাপসিকামের চারা এখনও বীজতলায় আছে। আরও একটু বড় হলে মূল জমিতে সেসব লাগানো হবে। আশা করছি, কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আমরা ভালো ফলন পাব এবং এর থেকে আমাদের আয়ও ভালো হবে।
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ইসলামপুর ও চাকুলিয়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্যাপসিকাম চাষ করানো হয়েছে। এখন ওসব এলাকার অনেক চাষিই ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। চোপড়াতে এবারই প্রথম উদ্যানপালন দপ্তর ক্যাপসিকাম চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। অনেক কৃষকই এতে উৎসাহিত হয়েছেন। কিছু কৃষক ইতিমধ্যেই চাষের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। এই ক্যাপসিকাম দিয়ে স্যালাড, স্যুপ ও রান্নর সব্জি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে রেস্তরাঁয় ক্যাপসিকামের স্যুপ ও স্যালাডের প্রচুর চাহিদা আছে। তাই বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। ইসলামপুর ও চাকুলিয়ার কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। এই চাষের জন্য দোয়াঁশ মাটি হলে ভালো হয়। ক্যাপসিকাম খরা সহ্য করতে পারে না। আবার গাছের গোড়ায় জল জমে থাকলে তা এই চাষের পক্ষে ক্ষতিকর হয়। তাই প্রয়োজনীয় সেচের দরকার হয়। যাতে জমিতে আগাছা না জন্মায় সেজন্য দপ্তর থেকে পলিথিনের মাচা বানিয়ে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।