কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
অত্যধিক বৃষ্টিপাতের জন্য ভূমিক্ষয় একটি বড় সমস্যা। এর ফলে মাটিতে অণুখাদ্যের ঘাটতি হয়। এছাড়া চাষের পরিমাণ বাড়ায় বর্তমানে অণুখাদ্যের সংকট বাড়ছে। বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগেও অণুখাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কৃষিবিদরা বলেন, মাটিতে অণুখাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে জৈব সার প্রয়োজ বাড়াতে হবে। অণুখাদ্যের অভাব বুঝতে মাটি পরীক্ষা করা জরুরি। এছাড়া উদ্ভিদের নমুনাও পরীক্ষা করা উচিত। উত্তরবঙ্গের মাটি মূলত অম্ল জাতীয়। ফলে মাটিতে বোরোনের অভাব রয়েছে। বোরোনের অভাবে সবজি, ডাল, গম ও তেল জাতীয় শস্যের উৎপাদন কমে যায়। তাই মাটির অতিরিক্ত ক্ষারত্ব ও অম্লত্ব কমিয়ে অণুখাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। জৈব সার প্রয়োগ করে প্রথমে মাটির ক্ষারত্ব কমাতে হবে। দুটি পদ্ধতিতে অণুখাদ্য প্রয়োগ করা যায়। মাটিতে চাপান সারের সঙ্গে এবং গাছের পাতায় স্প্রে করে। প্রতি একর জমিতে ছয় কেজি অণুখাদ্য ৩০ কেজি জৈব সারের সঙ্গে মিশিয়ে চাপান সার দেওয়ার সময় প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে মূল সারের সঙ্গে কখনও অণুখাদ্য প্রয়োগ করা যাবে না। পাতায় স্প্রে করারও কিছু নিয়ম আছে। পাউডার জাতীয় অণুখাদ্য ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। তরল অণুখাদ্য ৩ মিলিলিটার জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার গাছ লাগানোর ২৫ থেকে ৩০ দিন পর, দ্বিতীয়বার ৫০ থেকে ৬০ দিন পর।