গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সঞ্জিত সেন যখন চড়-থাপ্পড় খাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেন কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সিইও ব্রিগেডিয়ার বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি। তাঁকেও কিল-চড়-ঘুসি হজম করতে হয়। নিজেকে আড়াল করতে সমর্থকদের দিকেও হাত চালান বিশ্বজিৎবাবু। অবশেষে পুলিশ প্রহরায় কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের ম্যানেজমেন্টের দুই প্রধান কর্তা মাঠ থেকে বেরতে সমর্থ হন। মাঠ থেকে বেরনোর সময় কোচ আলেজান্দ্রোর দিকে জলের বোতল, কটূক্তি উড়ে আসে। সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান মার্তি ক্রেসপি। স্টেডিয়ামের মূল গেটের সামনে লাল-হলুদ সমর্থকরা ভিড় করে বিক্ষোভ জানান। আসলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ইস্ট বেঙ্গলের সমর্থকদের সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি কোয়েসের এক কর্মী। তিনিও পাল্টা জবাব দিয়ে পোস্ট করেন ওয়ালে। তারই রেশ এসে পড়ে সঞ্জিত সেনদের উপর।
ইস্ট বেঙ্গলের সাবেক কর্তাদের সঙ্গে কোয়েস ম্যানেজমেন্টের সম্পর্ক এখন তলানিতে। তারই প্রমাণ হল বুধবার কল্যাণীর গ্যালারিতে। সদস্য-সমর্থকদের অভিযোগ, কোয়েসের দল গঠনে ব্যর্থতার জন্যই ইস্ট বেঙ্গলের এই হাল। অসহায় সঞ্জিত সেন এটাকে একটা চক্রান্ত বলছেন। তাঁর কথায়, ‘এমন ভাবে আমাকে অপমান করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। টিমের এই ব্যর্থতায় আমাদের কোনও দোষ নেই। পুরো টেকনিক্যাল টিমের ব্যর্থতা। কোচ যা বলেছেন, আমরা সেইমতো ফুটবলার এনে দিয়েছি। এরপরও দল ভালো খেলতে না পারলে সেটা তো দলের টেকনিক্যাল টিমের ব্যর্থতা।’
প্রশ্ন উঠছে, ইস্ট বেঙ্গলের বিদেশি ফুটবলার বাছাই নিয়ে। এই প্রসঙ্গে সঞ্জিত সেন পরিষ্কার বলেন, ‘কোচ আমাদের আগেই বলেছেন, হাতে থাকা দল নিয়েই তিনি কাজ চালিয়ে দিতে পারবেন। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়? তাছাড়া একটা বিদেশি আনতে গেলে অর্থ বড় ফ্যাক্টর। আর আইএসএলে খেলা কোনও ভালো ফুটবলার আই লিগে খেলতে আসবে না। আমাদের সব দিক দেখা হয়ে গিয়েছে।’ ইস্ট বেঙ্গলের সাবেক কর্তারা তো একটা ফুটবলারদের তালিকা আপনাদের দিয়েছিল, তার কী হল? কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সিইও এবার রেগে গিয়ে বলেন, ‘ওই তালিকা আপনারা দেখাতে পারবেন?’ আসলে তিনি বোঝাতে চাইলেন, এমন কোনও তালিকা তাঁরা পাননি।