সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুক্রবার রেনবোকে হারিয়ে কলকাতা লিগের খেতাবি লড়াইয়ে প্রবলভাবে থাকলেও গোলসংখ্যা বাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ ইস্ট বেঙ্গল। পিয়ারলেসের এখন আট ম্যাচে সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট। পিয়ারলেস বাকি তিনটি ম্যাচের মধ্যে কোনও একটিতে হেরে গেলে আর ইস্ট বেঙ্গল বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে গোল পার্থক্য ফ্যাক্টর হয়ে যাবে। রেনবো আট ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। এমন একটি দুর্বল দলের বিরুদ্ধে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া উচিত ছিল ইস্ট বেঙ্গলের। কিন্তু দুই স্প্যানিশ মার্কোস ও কোলাডো মোট চারটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করলেন। এদিন মার্কোসের পরিবর্তে ৫৫ মিনিটে মাঠে নেমে হ্যাটট্রিক করতে পারতেন কোলাডো। রেনবো দলের দুই সাইড ব্যাকই ছিলেন নড়বড়ে। প্রথমে সামাদ, পিন্টু এবং পরে পরিবর্ত হিসাবে ব্র্যান্ডন নেমে বে-আব্রু করে দেন প্রতিপক্ষ রক্ষণকে। প্রদীপ পাত্র, শঙ্কর কংসবণিকদের ব্যর্থতায় তখন রেনবোর বিদেশি স্টপার রিচার্ডের নাভিঃশ্বাস ওঠার অবস্থা। কিন্তু সেই গোলের সুযোগগুলি নষ্ট করে খেতাবি লড়াইয়ে থাকলেও নিজেদের কাজটি আরও কঠিন করে তুলল ইস্ট বেঙ্গল। এখন পিয়ারলেসের গোল পার্থক্য+ ১২ আর লাল হলুদের + ৬।
গোটা ম্যাচে রেনবো সুযোগ পেয়েছে মাত্র দুটি। চার মিনিটে ফেলিক্স চিডি অনেকটা একক প্রচেষ্টায় মার্কোস ও আসির আখতারের মাঝখান দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে চমৎকার শট নেন। ইস্ট বেঙ্গল গোলরক্ষক লালথুরাম রালতে তা তৎপরতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন। তবে ৭১ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগটি পেয়েছিল রেনবো। অভিষেক আম্বেকরকে টপকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে চমৎকার শট নিয়েছিলেন ফেলিক্স চিডি। তাঁর শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। শুক্রবার পয়েন্ট নষ্ট করলে ইস্ট বেঙ্গলের আর আশা থাকত না। সৌমিক দে রেনবোর দায়িত্ব পাওয়ার পর মাত্র চারদিন অনুশীলনের দায়িত্ব পেয়েছেন। দলটি মোটেই ছন্দে নেই। রিচার্ড- ফেলিক্সদের দেহের ওজন বেড়ে গিয়েছে। তাই এই দলকে প্রিমিয়ারে টিকিয়ে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জের।
এদিন ম্যাচের ৭ এবং ২৭ মিনিটে মার্কোস সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। দু’বারই তাঁকে চমৎকার বল বাড়িয়েছিলেন হুয়ান মেরা গঞ্জালেস। শুক্রবার খেলার দুই ঘণ্টা আগে ময়দানে বেশ বৃষ্টি হয়। এর ফলে ইস্ট বেঙ্গল মাঠের অবস্থা ভালো ফুটবলের আদর্শ ছিল না। এমন মাঠেও হুয়ান মেরা গঞ্জালেস বেশ সপ্রতিভ ছিলেন। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন মার্কোস (১-০)। বক্সের মধ্যে গতিতে এঁটে উঠতে না পেরে রোনাল্ডো অলিভিয়েরাকে ফেলে দেন রেনবোর সুজয় দত্ত। রোনাল্ডো গতিতে বেরিয়ে গিয়ে যখন আগুয়ান গোলরক্ষককে এড়িয়ে পুশ করবেন তখনই সুজয় তাঁকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন। রেফারি রবীন বিশ্বাস পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি। গোল পাওয়ার পর লাল হলুদ ধোঁয়া, আতস বাজিতে মেতে ওঠে ইস্ট বেঙ্গল গ্যালারি। দর্শকরা ভেবেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল হবে। সেই আশা পূরণ হল না তাঁদের।