কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, এমনিতেই বীরভূম জেলায় অত্যধিক গরম থাকে। তারপর সারাবছর নানা অনুষ্ঠান, মোচ্ছব লেগে থাকে। খাবার থেকে বিষক্রিয়া হওয়ার ঘটনা বারবার ঘটছে। তাই বাসি কোনও খাবারই না খেতে পরামর্শ দেব। খাবারে কিছু পড়ে থাকলে তা গরমে সমগ্র খাবারে ছড়িয়ে বিষক্রিয়া হয়ে যাচ্ছে। একসঙ্গে অনেককে খাওয়ানোর আগে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। যে কোনও অসুবিধায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করব।
বুধবার রাতে খয়রাশোলের কাঁকরতলার বড়রা গ্রামের বাগদিপাড়ায় হরিনাম উপলক্ষ্যে খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়। বেঁচে থাকা খিচুড়ি পরের দিন দুপুরেও অনেকে খান। তা খেয়ে প্রায় শতাধিক মানুষ অসুস্থ হন। এরমধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন অসুস্থকে প্রথমে স্থানীয় নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তবে শুক্রবার প্রায় প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অসুস্থ শিশুদেরও নিয়মিত ওআরএস দিয়ে সুস্থ করা গিয়েছে অনেকটাই। তবুও আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে গ্রামে। স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে মেডিক্যাল টিম এলাকায় ঘুরছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিচ্ছেন। তবে বাসি খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। শেষ কয়েকমাসে বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটল। লক্ষ্মীপুজোর পর বাসি খিচুড়ি খেয়ে রাজনগরের মালিপাড়া যেন মৃত্যুপুরী হয়ে গিয়েছিল। কান্নার রোল উঠেছিল গোটা এলাকায়। কয়েকমাস যেতেই আহমদপুরের সাংড়ার পাগলাডাঙা গ্রামে একটি শ্রাদ্ধবাড়িতে মুড়ি, বোঁদে খেয়ে কমপক্ষে ৪০জন শিশু সহ প্রায় ১৫০ জন অসুস্থ হন। এতে দিনদিন চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। এতবড় ঘটনার পরও মানুষজন কেন সতর্ক হচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তাঁদের।
সিউড়ি সদর হাসপাতালে সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, চিকিৎসা করা আমাদের কাজ। কিন্তু এই পরিস্থিতিই তৈরি হয় না, যদি খাবার দেখে খাওয়া হয়। খাবার আঢাকা রাখা যাবে না। রান্না করার আগে বাসনপত্র, জল সবকিছু ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। খাবার উপকরণও প্রয়োজনে পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। যেখানে অনেক লোকের খাবারের আয়োজন থাকবে, সেখানে আরও বেশি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। গরমে বেশিক্ষণ খাবার রাখলে এমনিই নষ্ট হয়ে যায়। তার সঙ্গে যদি টিকটিকি বা পোকামাকড় পড়ে, তা গোটা খাবারেই ছড়িয়ে বিপদ ডেকে আনে। সাবধানতাই একমাত্র পথ।