সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
মহকুমার বাসিন্দাদের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য এতদিন বর্ধমান, কলকাতা ও ভিন্ন রাজ্যে ছুটতে হতো। রোগের চিহ্নিতকরণের কাজে দেরি হয়ে যেত। যার মাশুল গুনতে হতো রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যদের। গ্ৰামের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন। দেরিতে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় রোগ থেকে সেরে ওঠার সংখ্যাও ছিল কম। আরামবাগে এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। হাসপাতালের মেডিসিন, সার্জারি, গাইনোকলজি, ইএনটি, রেডিওলজি, ডেন্টাল সার্জারি, প্যাথলজি এবং রেডিও থেরাপিস্ট নিয়ে তৈরি অঙ্কোলজি টিমের সদস্যরা আউটডোরে সপ্তাহে দুইদিন রোগী দেখবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি বোর্ড হাসপাতালে ভর্তি ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার প্রটোকলও ঠিক করে দেবেন। যেসব রোগীর রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি, সার্জারি ও অনান্য ডায়গনিস্টের প্রয়োজন হবে তাঁদের ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা থাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হবে। একইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অঙ্কোলজি টিমের সদস্যরা রোগীর চিকিৎসার শেষ পর্যায়ের পর্যন্ত নজরদারি রাখবেন। যাতে সেই রোগীর মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ না হয়ে যায়। মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক বলেন, বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে ক্যানসার চিকিৎসা হয়। গত কয়েক মাসে আরও কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালগুলোকে মাথায় (হাব) রেখে জেলা হাসপাতালগুলো স্পোক হিসেবে চিকিৎসার পরিষেবা দেবে। রোগের দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও প্রতিরোধ হাব ও স্পোক হাসপাতালগুলো সমন্বয় রেখে করবে। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের সুপারিনটেনডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল ইন্দিরা দত্ত বলেন, প্রাথমিক ভাবে মঙ্গল ও শুক্রবার সপ্তাহে দুইদিন আউটডোরে ক্যানসার চিকিৎসা করা হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যানসার রোগের চিহ্নিতকরণ, তার ওপর জোর দেওয়া হবে। ক্যানসার চিকিৎসার যাবতীয় পরিকাঠামো এখানে ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হবে। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ফিজিশিয়ান ডাঃ মনোজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগে এখানে ক্যানসারের চিকিৎসা হতো না। মহকুমার বাসিন্দাদের বর্ধমান, কলকাতা বা ভিন রাজ্যে চিকিৎসার জন্য যেতে হতো। এতে ক্যানসার চিহ্নিতকরণে দেরি হয়ে যেত। রোগ চিহ্নিতকরণে দেরি হওয়ার কারণে বহু রোগীকে এতদিন বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই উদ্যোগে মহকুমার বাসিন্দাদের উপকার হবে বলেই মনে করছি। আরামবাগ শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতম রায় বলেন, ক্যানসার রোগে পরিবারের এক সদস্যকে হারিয়েছি। রোগ চিহ্নিতকরণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজে ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু হয়েছে শুনে ভালো লাগছে। মহকুমার বহু মানুষ উপকৃত হবেন।